IMD West Bengal Flood Update: উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ফের ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দার্জিলিংয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি ডিভিসিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, “হয় ড্রেজিং করো, নয়তো বাঁধ ভেঙে দাও।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ডিভিসির গাফিলতিতেই প্রতি বছর উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা জলে ডুবে যাচ্ছে। ভুটানের জল নামার ফলে হওয়া ক্ষতিরও প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, বাংলার প্রতিনিধি ছাড়া কোনও বৈঠক করা উচিত নয়।

উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী, প্লাবনে ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা
উৎসবের মরশুমেই জলমগ্ন উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। দার্জিলিংয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রকৃতিকে নিয়ে খেলা যায় না। নদীকে নিজের মতো বইতে দিতে হয়। ডিভিসির দায়িত্ব ঠিক মতো না পালন করায় প্রতি বছর মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে।”তিনি আরও বলেন, “ভুটানের বাঁধের জল যাতে বাংলায় ঢুকে ক্ষতি না করে, তার ব্যবস্থা করতে হবে।”
‘হয় ড্রেজিং করো, নয়তো বাঁধ ভেঙে দাও’— ডিভিসিকে কড়া বার্তা
ডিভিসির ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দেন— “হয় নদীগুলিতে ড্রেজিং করো, নয়তো বাঁধ ভেঙে নদীকে নিজের গতিতে চলতে দাও।”
তিনি অভিযোগ করেন, “প্রতি বছর একই ঘটনা ঘটছে। ডিভিসি সময়মতো জল ছাড়া বা নদী পরিষ্কার না করার ফলেই এই বিপর্যয়।”
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় পর্যায়ের একটি বৈঠক আগামী ১৬ অক্টোবর ডাকা হয়েছে এই বিষয়ে।
ভুটান ও সেচ দপ্তর নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভুটান প্রশাসনকে বলতেই হবে, তাদের বাঁধের জল যেন বাংলার ক্ষতি না করে। বৈঠকে বাংলার প্রতিনিধিও থাকতে হবে।
একইসঙ্গে রাজ্যের সেচ দপ্তরের ভূমিকা নিয়েও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁর মন্তব্য, “সেচ দপ্তর ঠিক মতো কাজ করছে না। পূর্ত দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।

হাজারো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, রাজ্য দিল ত্রাণ সহায়তা
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবারের বন্যা ও ধসে উত্তরবঙ্গে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং ৩২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের একাধিক এলাকায় রাস্তাঘাট ভেঙে গিয়েছে।
রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ত্রাণ তহবিল খুলেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে প্রশাসন।
প্রশাসনিক কর্মীদের প্রশংসা, কেন্দ্রকে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রশাসনের আধিকারিক ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের স্যালুট জানান মুখ্যমন্ত্রী।একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলার ক্ষতিপূরণ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে শুধু বৈঠক নয়, দ্রুত বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন।

উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ প্লাবনের জন্য ফের ডিভিসিকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দার্জিলিং প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি বলেন, “প্রকৃতিকে নিয়ে খেলা যায় না। নদীকে নিজের মতো বইতে দিতে হয়।” রাজ্যের সেচ দপ্তরের কাজ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।













