মণীশার মৃত্যু মামলায় সিবিআই পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছে এবং শীঘ্রই তদন্ত শুরু করার আশ্বাস দিয়েছে। বাবা সঞ্জয় জানান, কর্মকর্তারা ফোন করে মামলার গুরুত্ব বোঝাচ্ছিলেন। ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভিবানি শিক্ষক মামলা: দিঘাওয়া মণ্ডি এলাকার শিক্ষিকা মণীশার মৃত্যুর মামলার তদন্ত এখন কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) করবে। মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সৈনির ঘোষণার পর সিবিআই পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছে এবং শীঘ্রই তদন্ত শুরু করার আশ্বাস দিয়েছে। এই মামলার প্রাথমিক তদন্তের সময় পুলিশ প্রথমে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে এবং পরে হত্যার ধারা যোগ করে।
মণীশার মৃতদেহ তিনবার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে এবং অনেক মানুষের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। বাবা সঞ্জয় জানান, সিবিআই কর্মকর্তাদের ফোন এসেছিল এবং তারা সোমবার পর্যন্ত আসার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এখন কিছু প্রকাশ কেবল সিবিআই তদন্তের পরেই করা হবে।
সিবিআই আসার পর নতুন করে এফআইআর দায়ের
মণীশা ১১ আগস্ট প্লে স্কুলে পড়ানোর জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল, কিন্তু বাড়িতে ফেরেনি। ১২ আগস্ট পুলিশ নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে এবং ১৩ আগস্ট মৃতদেহ উদ্ধারের পর হত্যার মামলাও দায়ের করা হয়। এই মামলা এখন সিবিআই-এর হাতে থাকায় নতুন করে এফআইআর দায়ের হতে পারে, যাতে মামলার গভীরতা এবং সত্যতা সঠিকভাবে জানা যায়।
তিনবার ময়নাতদন্ত এবং ফরেনসিক তদন্ত
মণীশার মৃতদেহ তিনবার ময়নাতদন্ত করা হয়। প্রথমবার ভিবানি সিভিল হাসপাতালে, দ্বিতীয়বার রোহতক পিজিআই এবং তৃতীয়বার দিল্লি এইমসে। ভিবানি ও পিজিআই-এর রিপোর্টের কিছু অংশ মিডিয়ার সাথে শেয়ার করা হয়েছে, যদিও এইমসের রিপোর্ট এখনও জনসমক্ষে আসেনি। এছাড়া, পুলিশ মৃতদেহ থেকে ১০টি ভিসেরা নমুনা मधुबन ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়েছিল, যার রিপোর্টও সিবিআইকে হস্তান্তর করা হবে। এই সমস্ত তদন্তের তথ্য সিবিআই-এর সামগ্রিক তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ হবে।
মামলার প্রাথমিক তদন্ত
এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে প্লে স্কুলের কর্মী ও পরিচালক, যে শিশুর সাথে মণীশার চ্যাট হয়েছিল, সার ও বীজ বিক্রেতা যাঁর কাছ থেকে মণীশা মনো স্প্রে কিনেছিল, নার্সিং কলেজের কর্মী এবং যে দুজন লোক প্রথম মৃতদেহ দেখেছিল, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়া, স্কুলের বাস চালকেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিবিআই-এর তদন্ত এই দিকগুলি আরও গভীরভাবে দেখবে এবং পরিবারের জন্য সত্য উন্মোচনে সাহায্য করবে।