মারাঠি ভাষা বিতর্কের মধ্যে নিরহুয়া, ঠাকরে ভাইদের খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন। তিনি বলেছেন, "আমি ভোজপুরি বলি, দম থাকলে আমাকে মহারাষ্ট্র থেকে বের করে দেখাও।" মনসেনা পাল্টা জবাব দিয়েছে।
মারাঠি বিতর্ক: মহারাষ্ট্রে হিন্দি বনাম মারাঠি ভাষা নিয়ে বিতর্ক আবারও বাড়তে দেখা যাচ্ছে। মুম্বাই এবং পুনের মতো বড় শহরগুলিতে অ-মারাঠি ভাষী লোকেদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামনে এসেছে। এই ঘটনার পর বিষয়টি রাজনৈতিক রূপ নিতে শুরু করেছে। বিশেষ করে ভোজপুরিভাষী সম্প্রদায়কে নিশানা করার অভিযোগে ভোজপুরি ফিল্ম অভিনেতা এবং বিজেপি সাংসদ দীনেশ লাল যাদব 'নিরহুয়া' কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) এবং মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরের প্রতি প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলি চমকপ্রদ
সম্প্রতি এমন কিছু ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)-এর কর্মীরা, যারা মারাঠি বলতে পারে না, তাদের হুমকি দিচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়েছে। এই ভিডিওগুলি সামনে আসার পর সারা দেশে ভাষার নামে বৈষম্যের বিতর্ক শুরু হয়েছে।
নিরহুয়া ঠাকরে ভাইদের খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন
বিজেপি সাংসদ এবং ভোজপুরি তারকা দীনেশ লাল যাদব নিরহুয়া এই পুরো ঘটনাটির উপর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমি মারাঠি বলি না। আমি ভোজপুরি বলি এবং মহারাষ্ট্রে থাকি। যদি সাহস থাকে, তবে আমাকে মহারাষ্ট্র থেকে বের করে দেখাও। গরিব মানুষদের ভয় দেখানো সহজ, আমার সঙ্গে লড়"।
নিরহুয়া আরও বলেন, ভারতের সৌন্দর্য তার ভাষাগত বৈচিত্র্যের মধ্যে নিহিত। বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি এবং উপভাষাগুলি একত্রিত হয়ে এই দেশকে এক সূত্রে বাঁধে। ভাষার নামে কাউকে নির্যাতন করা বা ভয় দেখানো শুধু অসাংবিধানিক নয়, বরং ভারতীয় ঐক্যের উপরও সরাসরি আঘাত।
মনসে নেতার পাল্টা জবাব: মুম্বাই এসে দেখান
নিরহুয়ার মন্তব্যের উপর মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা-র তরফেও পাল্টা জবাব দেওয়া হয়েছে। মনসে নেতারা বলেছেন, যদি দীনেশ লাল যাদবের সত্যিই সাহস থাকে, তবে তার মুম্বাই এসে এখানকার পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখা উচিত। পার্টি অভিযোগ করেছে যে কিছু বহিরাগত নেতা কেবল রাজনীতি উজ্জ্বল করার জন্য এই বিতর্ককে উস্কে দিচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন: ভাষার প্রতি গর্ব করুন, বৈষম্য করবেন না
এই বিতর্কের মধ্যে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশও একটি ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মারাঠি ভাষার প্রতি গর্ব করা কোনও ভুল কথা নয়। এটি প্রদেশের পরিচয়। তবে কোনও ব্যক্তিকে ভাষার ভিত্তিতে নির্যাতন করা, অপমান করা বা সহিংসতা করা সম্পূর্ণ ভুল এবং অগ্রহণযোগ্য। ভারতের সংবিধান প্রত্যেক ব্যক্তিকে মতপ্রকাশ এবং বসবাসের স্বাধীনতা দেয়।
ফড়নবিশ আরও বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অনুমতি কাউকে দেওয়া যায় না। যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে তবে তিনি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন, তবে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না।