প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংসদীয় কেন্দ্র বারাণসীর পর, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী ডঃ নবীন চন্দ্র রাম গুলাম অযোধ্যা পৌঁছেছেন। মহর্ষি বাল্মীকি বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং কৃষি মন্ত্রী সূর্য প্রতাপ শাহি।
অযোধ্যা: মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী ডঃ নবীন চন্দ্র রাম গুলাম আজ তাঁর পরিবার এবং ক্যাবিনেটের সদস্যদের সাথে অযোধ্যা পৌঁছেছেন। মহর্ষি বাল্মীকি বিমানবন্দরে তাঁকে ঐতিহ্যবাহী রেড কার্পেট অভ্যর্থনা জানানো হয়। এই অনুষ্ঠানে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং কৃষি মন্ত্রী সূর্য প্রতাপ শাহিও উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ডঃ গুলামের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যরা, মরিশাস প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এই সফরের প্রধান উদ্দেশ্য হলো রাম মন্দিরে দর্শন-পূজন করা এবং মন্দির নির্মাণের কাজ পর্যবেক্ষণ করা।
প্রধানমন্ত্রী ডঃ গুলামের কর্মসূচি
ডঃ নবীন চন্দ্র রাম গুলাম অযোধ্যাতে প্রায় দেড় ঘন্টা থাকবেন। এই সময়ে তিনি রামলালা এবং রাজারামের পুজো করবেন এবং মন্দির চত্বরে চলমান নির্মাণ কাজের পরিদর্শন করবেন। এছাড়াও, তিনি জটায়ু এবং অঙ্গদ টিলার दौरा করবেন এবং সেখানে শিবের অভিষেকও করবেন। জেলাশাসক নিখিল তিকারাম ফুন্ডে প্রধানমন্ত্রীর আগমন এবং কর্মসূচির তথ্য আগেই প্রকাশ করেছিলেন। এই সফর ভারত এবং মরিশাসের মধ্যে সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং কূটনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর অভ্যর্থনা এবং মন্দিরে দর্শন-পূজনের সময় নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। বিমানবন্দর থেকে মন্দির চত্বর পর্যন্ত সমস্ত নিরাপত্তা সংস্থা সতর্ক অবস্থায় ছিল। প্রধানমন্ত্রীর আগমনের কথা মাথায় রেখে বিমানবন্দরে একটি ঐতিহ্যবাহী অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে রাজ্যের সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যের সুন্দর প্রদর্শন করা হয়েছিল।
ভারত ও মরিশাসের সম্পর্ক সবসময়ই মধুর এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। এই সফর উভয় দেশের মধ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীর রাম মন্দিরে দর্শন-পূজন এই ঐতিহাসিক স্থানের গুরুত্ব বিশ্বজুড়ে তুলে ধরেছে।