কৈলাস মানস সরোবর যাত্রায় আহত প্রাক্তন মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি

কৈলাস মানস সরোবর যাত্রায় আহত প্রাক্তন মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার সময় তিব্বতে খচ্চর থেকে পড়ে যান। তাঁর কোমরে গুরুতর আঘাত লেগেছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাঁকে সড়কপথে ভারতে আনা হয়েছে।

Meenakshi Lekhi Injured: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার সময় গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। তিব্বতের দারচিন অঞ্চলে যাত্রার সময় তিনি খচ্চর থেকে পড়ে যান, যার ফলে তাঁর কোমরে গুরুতর আঘাত লাগে। দুর্ঘটনার পরপরই তাঁকে ভারতে আনা হয়েছে। রবিবার সকালে তিনি লিপুলেখ সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তরাখণ্ডের গুঞ্জিতে পৌঁছান। বর্তমানে সড়কপথে তাঁকে ধারচুলা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

স্থলপথে উদ্ধারকার্য

মীনাক্ষী লেখির উদ্ধারকাজে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল উচ্চতা এবং খারাপ আবহাওয়া। উচ্চ হিমালয় অঞ্চলে আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এই কারণে তাঁকে স্থলপথে ভারতে আনা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইটিবিপি-র সহায়তায় উদ্ধারকার্য চালানো হয়।

দ্বিতীয় দলের সঙ্গে যাত্রায় ছিলেন লেখি

মীনাক্ষী লেখি কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার দ্বিতীয় দলের সদস্য ছিলেন। এই দলে ১৪ জন মহিলাসহ মোট ৪৮ জন তীর্থযাত্রী ছিলেন। ১৪ জুলাই এই দলটি লিপুলেখ গিরিপথ দিয়ে তিব্বতে প্রবেশ করে। যাত্রার সময় তিনি এই দুর্ঘটনার শিকার হন। যাত্রায় তাঁর সঙ্গে থাকা যাত্রীরা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানে সাহায্য করেন এবং দ্রুত কর্মকর্তাদের খবর দেন।

যাত্রার প্রথম দলটি ১০ জুলাই তিব্বতে গিয়েছিল

এর আগে ৪৫ জন তীর্থযাত্রীর প্রথম দলটি ১০ জুলাই লিপুলেখ গিরিপথ পার হয়ে তিব্বতে পৌঁছায়। এই পথটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭,৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। তীর্থযাত্রীদের তিব্বতের তক্লাকোট, দারচিন, ডেরা ফুক, জুংহুই পু এবং কুগুর মতো স্থানগুলোতে থাকার ব্যবস্থা দেওয়া হয়। তাঁরা কৈলাস পর্বত এবং মানস সরোবর হ্রদের পরিক্রমা করেন, যা এই যাত্রার মূল উদ্দেশ্য।

ভারত-চীনের মধ্যে যাত্রা পুনরুদ্ধারের সম্মতি

কোভিড-১৯ এবং সীমান্ত বিরোধের কারণে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা দীর্ঘ সময় ধরে স্থগিত ছিল। সম্প্রতি ভারত ও চীনের মধ্যে এই ধর্মীয় যাত্রা পুনরায় শুরু করার বিষয়ে সম্মতি হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছিলেন যে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরুদ্ধারকে ভারতে ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন যে ভারত-চীন সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।

Leave a comment