একটি নতুন আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ১৩ বছর বয়সের আগে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দেওয়া হলে শিশুদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। অল্প বয়সে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার, সাইবারবুলিং, ঘুমের অভাব এবং পারিবারিক চাপ এর প্রধান কারণ। এই গবেষণা ১ লক্ষেরও বেশি অংশগ্রহণকারীর উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে এবং এটি অভিভাবক ও শিক্ষকদের জন্য একটি সতর্কবার্তা।
International Study: একটি নতুন আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় প্রকাশ করা হয়েছে যে, যে শিশুদের ১৩ বছর বয়সের আগে স্মার্টফোন দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই গবেষণায় ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী যুবকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যারা ১২ বছর বা তার কম বয়সে স্মার্টফোন ব্যবহার করা শুরু করেছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, এর কারণে আত্মহত্যার চিন্তা, আগ্রাসন, আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং বাস্তব থেকে বিচ্ছিন্নতা जैसी সমস্যাগুলি দেখা যায়। এই গবেষণাটি শিশুদের ডিজিটাল ব্যবহারের উপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার জন্য অভিভাবক ও শিক্ষকদের সতর্ক করে।
শুরুর দিকে স্মার্টফোন ব্যবহারে বাড়তে থাকা মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি
একটি নতুন আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় প্রকাশ করা হয়েছে যে, যে শিশুদের ১৩ বছর বয়সের আগে স্মার্টফোন দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। গবেষণা অনুসারে, ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী যে যুবকেরা ১২ বছর বা তার কম বয়সে ফোন ব্যবহার করা শুরু করেছিল, তাদের মধ্যে আত্মহত্যার চিন্তা, অতিরিক্ত আগ্রাসন, আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং বাস্তব থেকে বিচ্ছিন্নতা जैसी সমস্যাগুলি দেখা যায়। এই গবেষণায় ১ লক্ষেরও বেশি অংশগ্রহণকারীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার প্রাথমিক ব্যবহার, সাইবারবুলিং, ঘুমের অভাব এবং পারিবারিক চাপকে প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, অল্প বয়সে স্মার্টফোন ব্যবহার মস্তিষ্কের বিকাশের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। প্রধান নিউরোসায়েন্টিস্ট ডঃ তারা থিয়াগরাজন জানিয়েছেন যে, এর নেতিবাচক প্রভাব শুধুমাত্র হতাশা এবং উদ্বেগের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং হিংসাত্মক প্রবণতা এবং গুরুতর মানসিক চিন্তাভাবনাতেও পরিবর্তন হতে পারে। অভিভাবকদের শিশুদের ডিজিটাল ব্যবহারের উপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
মেয়ে ও ছেলেদের উপর ভিন্ন প্রভাব
গবেষণায় দেখা গেছে যে, অল্প বয়সে স্মার্টফোন ব্যবহার মেয়ে ও ছেলেদের উপর ভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। মেয়েদের মধ্যে খারাপ আত্ম-ভাবমূর্তি, আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং আবেগিক দৃঢ়তার অভাব দেখা যায়, যেখানে ছেলেদের মধ্যে শান্ত স্বভাবের অভাব, কম সহানুভূতি এবং অস্থির মানসিকতা বেশি দেখা যায়।
অধ্যয়নের তথ্য অনুসারে, যে শিশুরা ১৩ বছর বয়সে প্রথম ফোন পেয়েছে, তাদের Mind Health Quotient (MHQ) স্কোর গড়ে ৩০ ছিল, যেখানে যাদের ৫ বছর বয়সে ফোন ছিল, তাদের স্কোর ছিল মাত্র ১। মহিলাদের মধ্যে গুরুতর মানসিক লক্ষণ ৯.৫% এবং পুরুষদের মধ্যে ৭% পর্যন্ত বৃদ্ধি দেখা গেছে। অল্প বয়সে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারের কারণে প্রায় ৪০% ক্ষেত্রে সমস্যা বেড়েছে।
নীতি-নির্ধারক ও বিদ্যালয়গুলির জন্য পরামর্শ
গবেষকরা শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য চারটি জরুরি পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন: ডিজিটাল সাক্ষরতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বাধ্যতামূলক শিক্ষা, ১৩ বছর বয়সের আগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের উপর কঠোর নজরদারি, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার সীমিত করা এবং বয়সের ভিত্তিতে স্মার্টফোন ব্যবহারের উপর ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
বিশ্বের অনেক দেশ এই দিকে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি এবং নিউজিল্যান্ড তাদের স্কুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করেছে। আমেরিকার নিউইয়র্ক স্টেটও সম্প্রতি এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে।