মোদি তৃণমূলকে আক্রমণে শীর্ষে

মোদি তৃণমূলকে আক্রমণে শীর্ষে

দমদম সভা থেকে তৃণমূলকে সরাসরি আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রের প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধনী বিলের পক্ষে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের উদাহরণ তুলে তৃণমূলের দুর্নীতিবাজ চেহারা সামনে এনেছেন। মোদির ভাষায়, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত যারা, তাঁদের কি সরকারে থাকার যোগ্যতা আছে?

সংবিধান সংশোধনী বিল: মূল বৈশিষ্ট্য

কেন্দ্রের প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধনী বিল অনুযায়ী, গ্রেফতারির ৩০ দিনের মধ্যে জামিন না পেলে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, কেন্দ্র এই বিলকে বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীদের লক্ষ্য করে এনেছে। মোদি বলেন, আইনের আওতায় সকল রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আনা হবে। কেউ বাদ থাকবেন না।

তৃণমূলের কার্যকলাপে মোদির তীব্র সমালোচনা

মোদির বক্তব্যে উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের উদাহরণ, যেখানে নিয়োগ দুর্নীতি ও রেশন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার মন্ত্রীর পদবী বজায় ছিল। মোদি বলেন, একজন সরকারি কর্মচারী ৫০ ঘণ্টা জেলে থাকলেই চাকরি হারায়, কিন্তু মন্ত্রীরা জেলে বসেও পদ আঁকড়ে আছে। এটা সংবিধানের অপমান।

দুর্নীতি ও সরকারের আস্থার প্রশ্ন

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জেল থেকেও সরকার চালাচ্ছেন। এই প্রক্রিয়ায় মানুষের আস্থা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাই এই বিলের মাধ্যমে আমরা সকলকে কঠোর আইনের আওতায় আনছি।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, যে কোনও নেতা যদি ৩০ দিন জেলে থাকেন, তবেই তার পদবী হ্রাস পাবে।

ভারতের উন্নয়নের পথে বাধা নয়

মোদি শেষ করেন, দুর্নীতিবাজদের অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে। এই পদক্ষেপ দেশের উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।

Leave a comment