মুন্সি প্রেমচাঁদের নাম মনে এলেই এমন একটি চিত্র ভেসে ওঠে, যা সমাজের সবচেয়ে সাধারণ এবং নিপীড়িত শ্রেণির কথা বলে। প্রেমচাঁদ ১৮৮০ সালের ৩১ জুলাই বারাণসীর কাছে লমহি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কেবল হিন্দি নয়, উর্দু সাহিত্যেরও মহান লেখক হিসেবে বিবেচিত। তাঁর আসল নাম ছিল ধনপত রায় শ্রীবাস্তব, কিন্তু তিনি সাহিত্য জগতে ‘প্রেমচাঁদ’ নামেই বিখ্যাত হন। তিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে সমাজের গভীর বেদনা, বৈষম্য এবং শোষণকে যেভাবে জীবন্তভাবে উপস্থাপন করেছেন, তা আজও ততটাই প্রাসঙ্গিক।
গল্পে গ্রামীণ ভারতের বাস্তবতা
প্রেমচাঁদের গল্পের মূল কেন্দ্র ছিল গ্রাম, কৃষক, শ্রমিক এবং নিম্নবর্গ। তিনি তাঁর চরিত্রগুলোকে অত্যন্ত সাধারণ কিন্তু গভীরভাবে সংবেদনশীল করে তুলেছিলেন। তাঁর গল্পগুলো সেই সময়ের ভারতের চিত্র তুলে ধরে, যেখানে দারিদ্র্য, সামাজিক বৈষম্য এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি প্রবল ছিল। উদাহরণস্বরূপ, ‘পূস কি রাত’ গল্পে হালকু নামক কৃষকের দারিদ্র্য এবং অসহায়তাকে এত সংবেদনশীলভাবে দেখানো হয়েছে যে পাঠকের মন ভরে ওঠে। রাতে ক্ষেত পাহারা দেওয়ার সময় যখন হালকু ঠান্ডায় কাঁপতে থাকে এবং আগুন জ্বালাতে পারে না কারণ তার কাছে টাকা নেই – এই দৃশ্য আজও পাঠকদের নাড়া দেয়।
বাস্তববাদের अद्भुत चित्रण
প্রেমচাঁদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল তাঁর বাস্তববাদী দৃষ্টি। তিনি কোনো বিষয়কে অলঙ্কৃতভাবে নয়, বরং তার আসল রূপের সাথে উপস্থাপন করতেন। তা সে ‘কাফন’-এর মতো মর্মস্পর্শী গল্পই হোক, যেখানে দারিদ্র্য এত চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ছেলে ও পুত্রবধূর মৃত্যুর পরেও বাবা ও ছেলে তাদের নামে মদ পান করে – প্রেমচাঁদ এমন তিক্ত সত্যকে সামনে আনতে কখনো দ্বিধা করেননি। প্রেমচাঁদ দেখিয়েছেন যে সমাজে পরিবর্তন আনতে হলে প্রথমে তার বাস্তবতা বোঝা এবং স্বীকার করা জরুরি।
নারীর অবস্থা ও সংগ্রাম
প্রেমচাঁদের গল্পে মহিলাদের পরিস্থিতিও বার বার উঠে এসেছে। তিনি ভারতীয় সমাজে নারীদের দুর্দশা, শোষণ এবং তাঁদের নীরব কণ্ঠস্বরকে তাঁর গল্পে স্থান দিয়েছেন। ‘সেবাসদন’ এবং ‘গবন’-এর মতো উপন্যাসে নারীদের জীবন এবং তাঁদের আত্মসম্মানের সন্ধানকে খুব সুন্দর এবং সত্যতার সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি মহিলাদের শুধু ভুক্তভোগী হিসেবে নয়, বরং সংগ্রামশীল এবং स्वाभिमानी রূপে দেখিয়েছেন।
সামাজিক পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা
প্রেমচাঁদের সাহিত্য কেবল সমাজের बुराइयों का आईना ছিল না, বরং তা পরিবর্তনের प्रेरणाও দিত। তিনি চাইতেন শোষিত ও দরিদ্র মানুষ তাদের অধিকারের জন্য आवाज उठाएँ। তাঁর গল্পগুলোতে এটি স্পষ্ট झलकता है যে পরিবর্তন সম্ভব – যদি মানুষ संगठित হয়, শিক্ষিত হয় এবং সচেতন হয়। ‘ঈদগাহ’ গল্পে হামিদের দাদীর জন্য চিমটা কেনার मासूम भावना একদিকে ত্যাগ और सच्चे प्रेम को दर्शाती है, वहीं दूसरी तरफ समाज की बुनियादी ज़रूरतों और इच्छाओं की कमी की ओर इशारा करती है।
ভাষা ও শৈলীর সরলতা
প্রেমচাঁদের ভাষা आम जनमानस की भाषा थी। তিনি संवादों এবং সরল शब्दों के माध्यम से बड़े से बड़े विचारों को इस तरह प्रस्तुत करते थे कि हर पाठक उससे जुड़ सके। उन्होंने संस्कृतनिष्ठ हिंदी या फारसीभाषा से दूरी बनाकर जनभाषा को साहित्य की भाषा बनाया। उनकी शैली में न नाटकीयता होती थी और न ही भावनात्मक अतिरेक – बस एक सहज, सच्ची, जीवन के करीब कहानी होती है जो सीधे दिल में उतर जाती है।
कालजयी कहानियां: जो आज भी उतनी ही जीवंत हैं
মুন্সি প্রেমচাঁদ প্রায় ৩০০টিরও বেশি গল্প এবং ১২টি উপন্যাস লিখেছেন। তাঁর কিছু গল্প যা আজও সবচেয়ে বেশি পঠিত ও প্রশংসিত হয়, সেগুলি হল:
- কাফন
- ঈদগাহ
- পূস কি রাত
- নমক কা দারোগা
- बड़े घर की बेटी
- সত্য का प्रयोग
हर कहानी সমাজ की किसी न किसी सच्चाई को उजागर करती है – चाहे वह जात-पात हो, अमीरी-गरीबी का फर्क हो या नारी शोषण।
प्रेमचंद की विरासत: आज भी उतनी ही प्रभावशाली
প্রেমচাঁদের গল্প আজও স্কুলের পাঠ্যক্রমে পড়ানো হয়, নাটক ও সিনেমার ভিত্তি তৈরি করে এবং साहित्यिक शोध का केंद्र हैं। उनकी लेखनी समय की सीमाओं को पार कर चुकी है। उन्होंने जिस ईमानदारी, संवेदनशीलता और गहराई के साथ लिखना सिखाया – वह आज के लेखकों के लिए भी आदर्श है। उन्होंने बताया कि साहित्य केवल मनोरंजन का माध्यम नहीं, बल्कि समाज का आईना और सुधार का उपकरण भी हो सकता है।
মুন্সি প্রেমচাঁদ শুধু একজন লেখক ছিলেন না, বরং একজন সমাজ সংস্কারক, विचारक এবং গণমানুষের প্রতিনিধি ছিলেন। তাঁর গল্পে আমরা কেবল অতীতের झलक मिलती है, बल्कि आज के समाज की भी सचाई दिखाई देती है। उनके साहित्य से यह सीख मिलती है कि जब तक समाज में अन्याय, भेदभाव और पीड़ा है – तब तक प्रेमचंद की लेखनी प्रासंगिक रहेगी।