ভারতীয় ক্রিকেট এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের মাটিতে চারটি স্তরে প্রতিনিধিত্ব করছে। একদিকে যেখানে সিনিয়র পুরুষ দল ইংল্যান্ড সফরে রয়েছে, সেখানে মহিলা দলও ইংল্যান্ডে সিরিজ খেলছে।
ক্রীড়া ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ হিসেবে পরিচিত তরুণ খেলোয়াড় মুশির খান ইংল্যান্ডের ময়দানে তাঁর প্রতিভা দিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছেন। ভারতের মুম্বাই ইমার্জিং দলের সঙ্গে ইংল্যান্ড সফরে যাওয়া এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার টানা তিনটি ম্যাচে সেঞ্চুরি করে সকলের নজর নিজের দিকে টেনেছেন। শুধু তাই নয়, বোলিংয়েও তাঁর পারফরম্যান্স অসাধারণ ছিল, যা দেখে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলাবলি করছেন যে ভারত সম্ভবত তাদের পরবর্তী সেরা অলরাউন্ডারকে খুঁজে পেয়েছে।
তিন ইনিংস, তিনটি সেঞ্চুরি – মুশিরের ব্যাট যেন আগুন ঝরাচ্ছে
মুশির খান ইংল্যান্ড সফরের শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং করেছেন। তিনটি ম্যাচেই সেঞ্চুরি করে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর মধ্যে দীর্ঘ ইনিংস খেলার ক্ষমতা এবং ধারাবাহিকতা দুটোই বিদ্যমান।
প্রথম ম্যাচ (৩০ জুন) – বনাম নটিংহ্যামশায়ার সেকেন্ড একাদশ
- রান: ১২৩
- বল: ১২৭
- চার: ১২ | ছয়: ১
দ্বিতীয় ম্যাচ (৩ জুলাই) – বনাম চ্যালেঞ্জার্স
- রান: ১২৫
- বল: ১২৭
- চার: ১১ | ছয়: ১
তৃতীয় ম্যাচ – বনাম লবোরো ইউসিসিই
- রান: ১০২
- বল: ১১৬
- চার: ১৪ | ছয়: ১
বোলিংয়েও দাপট, এক ইনিংসে ৬ উইকেট, ম্যাচে মোট ১০ শিকার
মুশির খান শুধু একজন অসাধারণ ব্যাটসম্যানই নন, তিনি বাঁহাতি স্পিনারও। চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি বোলিংয়েও কামাল দেখিয়েছেন।
- প্রথম ইনিংসে: ৬ উইকেট, ৩৮ রান দিয়ে
- দ্বিতীয় ইনিংসে: ৪ উইকেট
- মোট উইকেট: ১০
যদিও ম্যাচটি ড্র ছিল, তবে তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্স সকলকে মুগ্ধ করেছে। বলকে ফ্লাইট দেওয়া, টার্ন করানো এবং সঠিক লেন্থে পিচ করা তাঁর বৈশিষ্ট্য হিসেবে দেখা গেছে।
দুর্ঘটনা থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত পথ চলা
২০২৪ সালে যখন মুশির ইরানি কাপে খেলতে যাচ্ছিলেন, তখনই লখনউয়ের কাছে তাঁর দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় তাঁর ঘাড়ে গুরুতর চোট লাগে এবং তাঁকে কয়েক মাস ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হয়। এই সময়টা তাঁর কেরিয়ারের জন্য খুবই কঠিন ছিল, কিন্তু তিনি সংগ্রাম, পুনর্বাসন এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ফিরে আসেন। আইপিএল ২০২৫-এ মুশির খান পাঞ্জাব কিংস দলের সদস্য ছিলেন।
যদিও তিনি মাত্র একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন, যেখানে তিনি ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নামেন। ব্যাটিংয়ে তিনি কোনো রান করতে পারেননি, তবে বোলিংয়ে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের উইকেট নিয়েছিলেন। এই অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও ভালো হওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।