নদিয়ার ব্যবসায়ী খুন: জলপাইগুড়ি থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল শান্তিপুর পুলিশ

নদিয়ার ব্যবসায়ী খুন: জলপাইগুড়ি থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল শান্তিপুর পুলিশ

নদিয়া খুন মামলা: নদিয়ার শান্তিপুর সাহেবডাঙায় গত ২৮ তারিখে ব্যবসায়ী হাশিম মণ্ডলের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের তদন্তে বড় মোড়। শান্তিপুর থানার পুলিশ জলপাইগুড়ি থেকে মূল অভিযুক্ত মামুন শেখকে গ্রেপ্তার করেছে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এর আগেই চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তাঁদের কাছ থেকে উঠে আসে মামুনের সরাসরি যোগসূত্র, যার ভিত্তিতে পুলিশ এই গ্রেপ্তারি অভিযান চালায়।

হত্যাকাণ্ডে নৃশংস চিত্র

শান্তিপুর সাহেবডাঙার মিদ্দেপাড়া এলাকায় রাস্তার ধারে উদ্ধার হয় ব্যবসায়ী হাশিম মণ্ডলের দেহ। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। প্রথম থেকেই অনুমান করা হচ্ছিল এটি পরিকল্পিত খুন।

তদন্তে একের পর এক গ্রেপ্তার

ঘটনার পরপরই শান্তিপুর থানার পুলিশ সক্রিয় হয়। চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করে পুলিশ। ধীরে ধীরে তদন্তে মূল অভিযুক্তের পরিচয় স্পষ্ট হয়।

জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেপ্তারি অভিযান

পুলিশ সূত্রে খবর, মামুন শেখ ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিল। শেষমেশ জলপাইগুড়িতে তার অবস্থান চিহ্নিত করা যায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে শান্তিপুর থানার পুলিশ তাকে পাকড়াও করে।

পুলিশের দাবি ও পরবর্তী পদক্ষেপ

পুলিশের দাবি, মামুন শেখই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। তবে তদন্ত এখনও চলছে। তাকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পুলিশ আশা করছে, এই জেরা থেকে আরও তথ্য প্রকাশ্যে আসতে পারে।

নদিয়ার শান্তিপুরে ব্যবসায়ী খুন মামলায় পুলিশের বড় সাফল্য। সাহেবডাঙার রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ডে চার অভিযুক্ত আগেই ধরা পড়েছিল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে মূল সন্দেহভাজন মামুন শেখের নাম। অবশেষে জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার হলেন তিনি।

Leave a comment