এনডিএ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর भव्य স্বাগত। অপারেশন সিন্দুর এবং মহাদেবের সাফল্যে প্রস্তাব গৃহীত। মোদী সেনা বাহিনীর প্রশংসা করেন এবং দেশের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন।
PM Modi: সংসদ ভবনে মঙ্গলবার জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ)-র সংসদীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ নেতারা সাম্প্রতিক সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিন্দুর’ এবং ‘অপারেশন মহাদেব’-এর অভূতপূর্ব সাফল্যে গর্ব ও উদ্দীপনার সঙ্গে আলোচনা করেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং তাঁকে বিশেষ সম্মান প্রদান করা হয়। পুরো সভাগৃহ ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে, যা পরিবেশকে উৎসাহ ও গর্বে পরিপূর্ণ করে তোলে।
মোদীকে স্বাগত জানাতে জয়ধ্বনি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৈঠকস্থলে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই এনডিএ সাংসদরা দাঁড়িয়ে করতালি ও জয়ধ্বনি দিয়ে তাঁকে অভিবাদন জানান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ এনডিএ-র প্রধান নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ‘হর হর মহাদেব’ এবং ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখে আত্মবিশ্বাস ও গাম্ভীর্য দুটোই ফুটে উঠছিল। এই বৈঠকটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ এটি অপারেশন সিন্দুর এবং মহাদেবের পর এনডিএ সাংসদদের প্রথম সম্মিলিত বৈঠক ছিল।
অপারেশন সিন্দুর নিয়ে প্রস্তাব পাশ, সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন
বৈঠকে একটি বিশেষ প্রস্তাব পাশ করা হয়, যেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্ব ও কৌশলগত দক্ষতার প্রশংসা করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘অপারেশন সিন্দুর ভারতীয় সামরিক ইতিহাসের একটি গৌরবগাঁথা হয়ে থাকবে, যেখানে শত্রুদের যোগ্য জবাব দিয়ে আমাদের সেনারা অসাধারণ পরাক্রম দেখিয়েছে।’ একই সঙ্গে এই প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বকে निर्णायक ও দূরদর্শী बताया गया। এনডিএ সাংসদরা সর্বसम्मতিতে এই প্রস্তাব পাশ করার সময় আরও বলেন যে, ‘দেশের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে মোদী সরকারের ভূমিকা ঐতিহাসিক।’
প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাষণ: ‘ভারত এখন निर्णायक পদক্ষেপ নেয়’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৈঠকে তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ভারত এখন শুধু প্রতিক্রিয়া দেয় না, বরং निर्णायक পদক্ষেপ নেয়। অপারেশন সিন্দুর এবং অপারেশন মহাদেব এই কথার প্রমাণ যে আমরা আমাদের নাগরিক, সৈনিক এবং সীমান্ত রক্ষার জন্য সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’ তিনি বলেন, ‘এই সাফল্য আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর কঠোর পরিশ্রম, সম্মিলিত ইচ্ছাশক্তি এবং राष्ट्रहित-এ নেওয়া সাহসী সিদ্ধান্তের ফল। আমি ভারতের প্রতিটি सैनिक-কে नमन করি এবং দেশবাসীকে আশ্বাস দিচ্ছি যে ভারতের সুরক্ষা সর্বাগ্রে।’
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়েও আলোচনা
বৈঠকে আসন্ন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়েও সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়। মনোনয়ন প্রক্রিয়া ৭ অগাস্ট থেকে শুরু হতে চলেছে এবং এনডিএ-র কাছে নির্বাচক মণ্ডলে স্পষ্ট बहुमत রয়েছে। ফলে প্রার্থীর নির্বাচন এখন শুধু একটি औपचारिकता मात्र। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শীঘ্রই এনডিএ তাদের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে। জেপি নাড্ডা বলেন, ‘এনডিএ पूरी तरह से एकजुट এবং আমাদের বিশ্বাস যে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আমরা भारी मतों से जीत दर्ज করব।’
বিরোধীপক্ষের ওপর निशाना, एकजुटতার বার্তা
বৈঠকে কয়েকজন বক্তা বিরোধীপক্ষের ভূমিকা ও সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা বলেন যে যখন দেশ তার সীমান্ত রক্ষার জন্য বড় অপারেশন করছে, তখন বিরোধীপক্ষের মনোভাব শুধু निराशाजनक নয়, गैर-जिम्मेदाराना-ও বটে।
রাজনাথ সিং বলেন, ‘আজকের ভারত যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, কিছু বিরোধী দল শুধু সমালোচনা করে সময় নষ্ট করছে।’
এনডিএ-র একতার প্রদর্শন
পুরো বৈঠকে এনডিএ দলগুলির एकजुटता স্পষ্ট দেখা গেছে। সমস্ত घटक दल-এর সাংসদরা মোদী সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্তের समर्थन করে জোর দিয়ে বলেন যে দেশের स्थिर ও শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রয়োজন, যা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদী দিতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আবারও পুরো সভাগৃহ ‘জয় শ্রী রাম’ ও ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। এই মুহূর্তটি ছিল সেই जनभावना-র প্রতীক, যা বর্তমান সরকারের কার্যशैली ও निर्णायक নেতৃত্বে আস্থা রাখে।