নেপালে জেন-জি আন্দোলনের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে সর্বসম্মত চুক্তি। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পডেল সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে মনোনীত করেছেন। সংসদ বিলুপ্তির বিরোধ চলছে এবং নিরাপত্তা কড়া করা হয়েছে।
Nepal Protest: নেপালে জেন-জি আন্দোলনের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে সর্বসম্মত চুক্তি হয়েছে। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পডেল সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল এবং বিশিষ্ট আইনজ্ঞদের সাথে দীর্ঘ আলোচনার পর প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নামে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তবে, সংসদ বিলুপ্তির ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে অচলাবস্থা এখনও অব্যাহত রয়েছে। জেন-জি গোষ্ঠীগুলি অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে মতপার্থক্য প্রকাশ করেছিল, কিন্তু রাষ্ট্রপতির উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক দলগুলির সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি ভারসাম্যপূর্ণ করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ
নেপালে এক নতুন সকালের প্রত্যাশার মধ্যে জেন-জি আন্দোলনের রাতে উত্তেজনা অব্যাহত ছিল। সংবিধানের নিয়মাবলী অনুসারে, জেন-জি গোষ্ঠীগুলির দাবি পূরণ করতে এবং দেশকে রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্ত করতে রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান এবং আইনজ্ঞরা যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রায় রাত দুইটায় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নামে সকলের চুক্তি হয়। তবে, সংসদ বিলুপ্তির ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
জেন-জি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে মতপার্থক্য
বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে জেন-জি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে কোনো ঐকমত্য ছিল না। সন্ধ্যায় সেনাসদর দপ্তরের কাছে দুটি গোষ্ঠীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যার ফলে পরিস্থিতি কিছু সময়ের জন্য অনিয়ন্ত্রিত দেখা দেয়। সূত্র অনুযায়ী, জেন-জি গোষ্ঠীগুলি জানিয়েছিল যে রাত পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত না হলে শুক্রবার থেকে আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে। এর ফলে রাষ্ট্রপতি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য উদ্যোগী হন।
রাষ্ট্রপতির সক্রিয় ভূমিকা
রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পডেল সেনাপ্রধান এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করেন এবং রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল प्रचंडও शीतल নিবাসে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করেন। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দল এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়।
কেপি শর্মা ওলি এবং অন্যান্য নেতাদের অংশগ্রহণ
সিপিএন-ইউএমএল সভাপতি কেপি শর্মা ওলি এবং নেপালী কংগ্রেসের বিশিষ্ট নেতাদের সাথে রাষ্ট্রপতি গভীর রাতে ফোনে আলোচনা করেন। সকল পক্ষ সাংবিধানিক मर्यादा পালন করে একটি পথ বের করতে রাজি ছিল। স্থানীয় জনসাধারণও দেশপ্রেম, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানায়।
অ-সংসদীয় প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতি এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে প্রয়োজন হলে একটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করে একজন অ-সংসদীয় ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা যেতে পারে। যদি সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তবে তার আগে একটি বৈঠক ডেকে সংবিধান সংশোধন করে একটি নাগরিক সরকারের বিকল্প বিবেচনা করা যেতে পারে। এই সময়কালে, অন্তর্বর্তীকালীন পর্যায় বৃদ্ধির ফলে উদ্ভূত সম্ভাব্য বিপদ এবং নিরাপত্তা উদ্বেগগুলিও বিবেচনা করা হয়।
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা
বৃহস্পতিবার রাতে প্রাক্তন রাজার ফেরার গুজব ছড়িয়ে পড়ে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্লেষণগুলি জনগণের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে। মধ্যরাতের পর অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ঠিক হওয়ার খবর আসার সাথে সাথে আশঙ্কা কমে আসে। অন্যদিকে, যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নেপালী সেনাবাহিনী সাঁজোয়া যান, নাইট-ভিশন হেলিকপ্টার এবং অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। জনগণকে সংযম বজায় রাখার এবং গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।