দোহার হামলার সঙ্গে ৯/১১-এর তুলনা: নেতানিয়াহু, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দানকারী দেশগুলোকে সতর্ক

দোহার হামলার সঙ্গে ৯/১১-এর তুলনা: নেতানিয়াহু, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দানকারী দেশগুলোকে সতর্ক

ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু দোহা হামলার তুলনা 9/11-এর পর আমেরিকার পদক্ষেপের সঙ্গে করেছেন। তিনি সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দানকারী দেশগুলিকে সতর্ক করেছেন। কাতার এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং কাপুরুষোচিত পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে।

World Update: ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস কর্মকর্তাদের ওপর হওয়া হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি এই হামলাকে ন্যায্যতা দিয়ে বলেছেন যে ইজরায়েল সেটাই করেছে যা আমেরিকা 9/11 হামলার পর করেছিল। তাঁর মতে, যখন কোনো দেশের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়, তখন তার কাছে জবাব দেওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকে না।

সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দানকারী দেশগুলিকে সতর্কবার্তা

তাঁর বিবৃতিতে নেতানিয়াহু সন্ত্রাসীদের আশ্রয় বা সাহায্য প্রদানকারী দেশগুলিকে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন যে এই ধরনের দেশগুলির সামনে দুটি বিকল্প রয়েছে। হয় তারা সন্ত্রাসীদের দেশ থেকে বের করে দিক, অথবা তাদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনুক। যদি তারা তা না করে, তাহলে ইজরায়েল নিজেই ব্যবস্থা নেবে।

ভিডিও বার্তায় বড় কথা

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু একটি ভিডিও বার্তা জারি করে বলেছেন যে ৭ অক্টোবরের হামলা ইজরায়েলের জন্য 9/11-এর মতো একটি হামলা ছিল। তিনি হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর ষড়যন্ত্র এবং বিদেশী সাহায্য নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। নেতানিয়াহু স্পষ্ট করেছেন যে ইজরায়েল সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দানকারী দেশগুলিকে কোনোভাবেই রেহাই দেবে না।

আমেরিকা এবং ওসামা বিন লাদেনের উদাহরণ

নেতানিয়াহু তাঁর বার্তায় আমেরিকার 9/11 হামলার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে সেই হামলার পর আমেরিকা আল-কায়েদার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ শুরু করেছিল। ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানে হত্যা করা সেই যুদ্ধেরই অংশ ছিল। ইজরায়েলও একই পথ অনুসরণ করেছে। তাঁর মতে, সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দেওয়া ব্যক্তিদের নির্মূল করাই এর আসল জবাব।

জাতিসংঘের উল্লেখ

ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবেরও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন যে এই প্রস্তাবে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে কোনো দেশ সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিতে পারে না। যদি কেউ তা করে, তবে সে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে। ইজরায়েলের পদক্ষেপ এই নীতির ওপর ভিত্তি করে।

কাতারের ক্ষোভ

ইজরায়েলের হামলায় কাতার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কাতার সরকার একটি বিবৃতি জারি করে এই হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে যে এটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন। কাতারের বক্তব্য, এই ধরনের পদক্ষেপ তার নাগরিক এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করেছে।

Leave a comment