জয়পুরে ভুয়ো ডিএসপি-কে গ্রেফতার করল পুলিশ, উর্দি ও লালবাতি লাগানো গাড়ি বাজেয়াপ্ত

জয়পুরে ভুয়ো ডিএসপি-কে গ্রেফতার করল পুলিশ, উর্দি ও লালবাতি লাগানো গাড়ি বাজেয়াপ্ত

জয়পুরে এক ব্যক্তি ভুয়ো ডিএসপি সেজে পুলিশের উর্দি পরে অবৈধভাবে টাকা আদায় করত। লাল বাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরে ঘুরে মানুষকে ভয় দেখাত। পুলিশ চন্দ্রপ্রকাশ সোনিকে গ্রেফতার করে উর্দি ও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে।

জয়পুর: রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে পুলিশ এক ভুয়ো ডিএসপি-কে গ্রেফতার করেছে, যে দীর্ঘ সময় ধরে মানুষকে ঠকিয়ে এবং ভয় দেখিয়ে অবৈধভাবে টাকা আদায় করছিল। অভিযুক্ত চন্দ্রপ্রকাশ সোনি পুলিশের উর্দি পরে এবং লাল বাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাত এবং তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করত। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তার উর্দি ও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে। এই গ্রেফতারির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে।

ভুয়ো পুলিশের উর্দি পরে টাকা আদায় করত 

তথ্য অনুযায়ী, চন্দ্রপ্রকাশ সোনি নিজেকে সিআইডি-র ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট বলে পরিচয় দিয়ে মানুষের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করত। সে জয়পুর ও তার আশেপাশের এলাকায় পুলিশের উর্দি পরে ঘুরত এবং যেকোনো ব্যক্তিকে ধরে বা অবৈধভাবে টাকা আদায় করার চেষ্টা করত। স্থানীয়দের মতে, অনেকেই এই ভুয়ো ডিএসপি-র ভয়ে প্রশ্ন না করেই টাকা দিয়ে দিত।

অভিযুক্ত লাল বাতি লাগানো গাড়ি এবং পুলিশের উর্দি ব্যবহার করে প্রভাব দেখানোর চেষ্টা করত। তার এই কাজ কয়েক মাস ধরে একটানা চলছিল। মানুষ বুঝতেও পারেনি যে সে আসল ডিএসপি নয়। তার ভয় এবং হুমকির কারণে অনেকে তাদের কাজকর্মেও বাধার সম্মুখীন হচ্ছিল।

ভুয়ো ডিএসপি গ্রেফতার

জয়সিংহপুরা খোর থানার পুলিশ ভুয়ো ডিএসপি-র খবর পাওয়ার পর একটি বিশেষ অভিযান চালায়। ডিসিপি নর্থ করণ শর্মা জানিয়েছেন যে ভুয়ো পুলিশ কর্মকর্তা এবং ঠগদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযানে এর আগেও বহু ভুয়ো পুলিশকর্মী গ্রেফতার হয়েছে।

এই অভিযানের অধীনে পুলিশ চন্দ্রপ্রকাশকে ধরার জন্য এলাকায় নজরদারি বাড়ায়। অভিযুক্তকে ধরার পর তার উর্দি, লাল বাতি লাগানো গাড়ি এবং অন্যান্য নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে যে এখন তদন্ত করা হচ্ছে যে সে কত মানুষকে ঠকিয়েছে এবং কত টাকা অবৈধভাবে আদায় করেছে।

মানুষের মধ্যে ভয় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও

অভিযুক্ত চন্দ্রপ্রকাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মানুষের মধ্যে স্বস্তির ঢেউ বয়ে গেছে। এর আগে অনেকে ভয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পারত না। এখন পুলিশের সক্রিয়তা ও গ্রেফতারির পর মানুষ তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করতে শুরু করেছে। ভিডিওতে অভিযুক্তের গ্রেফতারি ও পুলিশের পদক্ষেপ পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে।

স্থানীয় নাগরিকরা পুলিশের প্রশংসা করে বলেছেন যে এই ধরনের ভুয়ো কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি ছিল। পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে মানুষের আস্থা বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঠগদের বিরুদ্ধে একটি সতর্ক বার্তাও দেওয়া হয়েছে।

Leave a comment