নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প গাজা সংঘর্ষ বন্ধ করতে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করবেন। এই বৈঠকটি আগামী সপ্তাহে আমেরিকাতে অনুষ্ঠিত হবে।
নেতানিয়াহু-ট্রাম্প বৈঠক: ইজরায়েল এবং গাজার মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে চলা সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আগামী সপ্তাহে আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন, যেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা এবং বন্দীদের মুক্তি সংক্রান্ত একটি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
নেতানিয়াহুর আমেরিকা সফর চূড়ান্ত
নেতানিয়াহুর এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে সম্প্রতি ১২ দিন ধরে চলা উত্তেজনা শেষ হয়েছে এবং অঞ্চলে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। খবর অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের মধ্যে এই সাক্ষাৎ আগামী সোমবার নির্ধারিত হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল গাজা সংকট সমাধানের দিকে একটি সুনির্দিষ্ট সমাধান খোঁজা।
ট্রাম্পের উদ্যোগে আলোচনার ভিত্তি স্থাপন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছেন এমন এক সময়ে যখন গাজায় মানবিক সংকট গভীর হচ্ছে। সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পর ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনাগুলি অনুসন্ধান করছে। ট্রাম্প তার বিবৃতিতে বলেছেন, "আমরা বিশ্বাস করি যে আগামী সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট চুক্তি হতে পারে।"
কৌশলগত মন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনার পর বৈঠকের সিদ্ধান্ত
এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের প্রেক্ষাপটে, এই সপ্তাহে ইজরায়েলের কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার এবং আমেরিকার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে ওয়াশিংটনে আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠকে যুদ্ধবিরতি, বন্দীদের মুক্তি এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার অন্যান্য দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এখন এই আলোচনাগুলোকে চূড়ান্ত রূপ দিতে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প মুখোমুখি বসবেন।
হোয়াইট হাউসের অগ্রাধিকার গাজায় শান্তি
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা ট্রাম্প সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। লেভিট বলেন, "গাজা ও ইজরায়েল থেকে আসা সহিংসতা ও ধ্বংসের ছবি খুবই দুঃখজনক। এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই যুদ্ধের অবসান চান এবং সেই দিকেই এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।"
গাজা সংকট নিয়ে আমেরিকার মধ্যস্থতা
গত কয়েক মাসে গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ গুরুতর রূপ নিয়েছে। বিপুল সংখ্যক নাগরিক হতাহত হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে উদ্বেগ বেড়েছে। আমেরিকা এই পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আনার চেষ্টা করেছে।