বিহারের রাজনীতিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মহাজোট এবং ইন্ডি জোটের তৎপরতা বাড়ছে। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা রাহুল গান্ধী এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব সহ অন্যান্য জোট নেতারা ভোটার অধিকার যাত্রা-র জন্য মুঙ্গেরে পৌঁছেছেন।
জামালপুর: বৃহস্পতিবার देर সন্ধ্যায় ভোটার অধিকার যাত্রা উপলক্ষে মুঙ্গেরে কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা রাহুল গান্ধী, বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব, ভিআইপি প্রধান মুকেশ সহনী এবং সিপিআই-এর জাতীয় মহাসচিব দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের আগমন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এদের সঙ্গে ইন্ডি জোটের অন্যান্য নেতারাও মুঙ্গেরে রাত্রিযাপন করবেন।
সদর দপ্তর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে আদমপুর লাল খান চকে সরজন যাদবের খালি ১০ বিঘা জমিতে টেন্ট সিটি ও প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। এখানে বরিষ্ঠ নেতারা বিশ্রাম নেবেন, যেখানে রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের জন্য সমস্ত সুবিধা যুক্ত কন্টেনার ভ্যান রাখা হয়েছে। এই ভ্যানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর, মিটিং স্পেস ও শৌচাগারের সুবিধা রয়েছে। রাতের খাবার সম্পূর্ণরূপে নিরামিষ রাখা হয়েছে।
আদমপুরে টেন্ট সিটি ও ভ্যানের ব্যবস্থা
মুঙ্গের জেলার আদমপুর লাল খান চক স্থিত সরজন যাদবের খালি ১০ বিঘা জমিতে টেন্ট ও প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। এই টেন্ট সিটিতে ইন্ডি জোটের বরিষ্ঠ নেতারা রাত্রিযাপন করবেন, যেখানে রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদব সমস্ত আধুনিক সুবিধা যুক্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কন্টেনার ভ্যানে থাকবেন। ভ্যানে মিটিংয়ের জন্য আলাদা জায়গা, শৌচাগার ও আরামদায়ক ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাতের খাবার নিরামিষ রাখা হয়েছে।
এই আয়োজনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য দিল্লি থেকে ৮০ জন ভলান্টিয়ারের একটি দল এসেছে, যারা সমস্ত প্রস্তুতির তত্ত্বাবধান করছে। টেন্ট সিটি ও রাত্রিবাসের ব্যবস্থাপনায় প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।
লিট্টি-চোখা দিয়ে যাত্রা শুরু
মহাজোটের নেতারা জানিয়েছেন যে শুক্রবার সকালে এই যাত্রা শুরু হবে। নেতা ও সমর্থকরা লিট্টি-চোখা দিয়ে জলখাবার সেরে সাফিউাবাদ থেকে ভাগলপুরের দিকে রওনা দেবেন। যাত্রার বিস্তারিত রুটটি হল:
- সাফিউাবাদ থেকে বিন্দওয়ারা মোড়
- বিন্দওয়ারা মোড় থেকে খোজা বাজার
- খোজা বাজার থেকে চন্দন বাগ
- চন্দন বাগ থেকে সোঁঝি ঘাট
- সোঁঝি ঘাট থেকে ভগত সিং চক
- ভগত সিং চক থেকে আরডি এন্ড ডিজে কলেজ
- এরপর যাত্রা বাঁক হয়ে নওয়াগঢ়ী, বারিয়ারপুর, ঘোরঘাট হয়ে ভাগলপুর পৌঁছবে
এই যাত্রার সময় রাজনৈতিক নেতা ও সমর্থকদের বিপুল উপস্থিতি দেখা যাবে। যাত্রাকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুঙ্গেরের এসপি সৈয়দ ইমরান মাসুদ জানিয়েছেন যে ৩০০ জন জওয়ান, ১৫০ জন ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিক ও ১৫০ জন ম্যাজিস্ট্রেটকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) ক্রমাগত রুটে টহল দেবে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
যাত্রা রুট ও অনুষ্ঠানস্থলে তোরণ, ব্যানার ও পোস্টার লাগানো হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানেও ব্যবস্থাপনার নজরদারির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা উপস্থিত রয়েছেন।