ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের দাপট, টানা দ্বিতীয় জয়

ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের দাপট, টানা দ্বিতীয় জয়

জিম্বাবুয়েতে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ে দল অংশগ্রহণ করছে। এই টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ড দলকে দারুণ ফর্মে দেখা যাচ্ছে। কিউই দলটি এ পর্যন্ত তাদের দুটি ম্যাচেই জয়লাভ করে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছেছে।

স্পোর্টস নিউজ: নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে। এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বোলার ও ব্যাটসম্যান উভয়েই চমৎকার পারফর্মেন্স দেখিয়েছেন। নিউজিল্যান্ড প্রথম ম্যাচে সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল এবং এখন জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ফাইনালের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।

ম্যাচের সম্পূর্ণ বিবরণ: নিউজিল্যান্ড বনাম জিম্বাবুয়ে

ম্যাচে জিম্বাবুয়ে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ১২০ রান তোলে। জবাবে নিউজিল্যান্ড ডেভন কনওয়ের অপরাজিত চমৎকার ইনিংসের সুবাদে মাত্র ১৫.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে সেই লক্ষ্য অর্জন করে। লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড দলের শুরুটা ভালো হয়নি। টিম সিফার্ট মাত্র ৩ রান করে দ্রুত আউট হয়ে যান। কিন্তু এরপর ডেভন কনওয়ে দায়িত্ব নিয়ে ইনিংস গড়েন এবং একটি অসাধারণ অর্ধশতরান করেন।

কনওয়ে ৪০ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। মজার বিষয় হল, এই ইনিংসে কনওয়েকে অন্তত ৮ বার ভাগ্য সঙ্গ দিয়েছে।

  • যখন তিনি মাত্র ১ রানে ছিলেন, তখন তার একটি সহজ ক্যাচ মিস হয়।
  • ৩৪ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে তিনি রান আউট থেকে অল্পের জন্য বাঁচেন।
  • তার বিরুদ্ধে একটি এলবিডব্লিউ-এর খুবই ক্লোজ আবেদনও খারিজ হয়ে যায়।
  • অনেকবার তার উঁচু শট ফিল্ডারদের থেকে দূরে গিয়ে পড়েছে।

তা সত্ত্বেও কনওয়ে তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দলকে জিতিয়েছেন। তার সাথে রাচিন রবীন্দ্র (১৯ বলে ৩০ রান) এবং ড্যারিল মিচেল (১৯ বলে অপরাজিত ২৬ রান) গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। কনওয়ে এবং মিচেল একসঙ্গে ৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ গড়েন এবং দলকে সহজে জিতিয়ে দেন।

ম্যাট হেনরির ৩ উইকেট, জিম্বাবুয়ের ইনিংস ছিল দুর্বল

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের শুরুটা আক্রমণাত্মক ছিল। ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরে ৩২ বলে ৩৬ রান করেন এবং ব্রায়ান বেনেট ১৯ বলে ২০ রান যোগ করেন। কিন্তু পাওয়ারপ্লের শেষে বেনেট, ম্যাট হেনরির শিকার হন। এরপর জিম্বাবুয়ের ইনিংস ভেঙে পড়ে এবং তারা নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে।

নিউজিল্যান্ডের বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেন এবং জিম্বাবুয়েকে ২০ ওভারে মাত্র ১২০/৭ রানে আটকে দেন। ম্যাট হেনরি ছিলেন সবচেয়ে সফল বোলার। তিনি ৪ ওভারে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া অন্য বোলাররাও আঁটসাঁট বোলিং করেন।

নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত ফর্ম, টানা দ্বিতীয় জয়

নিউজিল্যান্ড এই ত্রিদেশীয় সিরিজে এ পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলেছে এবং দুটিতেই জয় পেয়েছে। প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ড সাউথ আফ্রিকাকে ২১ রানে হারিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে। এই জয়ের সাথে নিউজিল্যান্ড ফাইনালের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে এবং টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দাবিদার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে।

কনওয়ের এই ইনিংস প্রমাণ করে যে তিনি বড় ম্যাচে দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। যদিও তার ইনিংসে ভাগ্যের একটা বড় হাত ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি তার অভিজ্ঞ এবং শান্ত ব্যাটিং দিয়ে ম্যাচটিকে একতরফা করে দেন।

Leave a comment