মার্কিন প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্ম জেনারেল অ্যাটলান্টিক ফোনপে-তে ৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে, যার ফলে তাদের অংশীদারিত্ব বেড়ে ৯% হয়েছে। এই বিনিয়োগ কর্মীদের ESOP করের দায় মেটানোর জন্য করা হয়েছে। সংস্থাটি শীঘ্রই প্রায় ১২,০০০ কোটি টাকার মেগা আইপিও-র প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেখানে কোনো নতুন শেয়ার জারি করা হবে না।
PhonePe IPO: ফিনটেক সংস্থা ফোনপে জেনারেল অ্যাটলান্টিকের কাছ থেকে ৬০ কোটি ডলারের নতুন বিনিয়োগ পেয়েছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীর অংশীদারিত্ব ৪.৪% থেকে বেড়ে ৯% হয়েছে। এই চুক্তি কর্মীদের ESOP করের দায় মেটাতে সাহায্য করবে। সংস্থাটি ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে সেবির কাছে তাদের গোপন খসড়া জমা দিয়েছিল এবং বছরের শেষ নাগাদ ১২,০০০ কোটি টাকার অফার ফর সেল (OFS) সহ একটি মেগা আইপিও-র প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই অফারে ওয়ালমার্ট, টাইগার গ্লোবাল এবং মাইক্রোসফট তাদের অংশীদারিত্ব বিক্রি করতে পারে।
আইপিও-র আগে কর্মীদের স্বস্তি
এই বিনিয়োগ ফোনপে-র কর্মীদের জন্য স্বস্তি নিয়ে এসেছে। এই অর্থ সংস্থার কর্মীদের তাদের এমপ্লয়ি স্টক অপশনস অর্থাৎ ESOPs ব্যবহার করার পর উদ্ভূত করের দায় পরিশোধ করতে সাহায্য করবে। সূত্র অনুযায়ী, এই চুক্তির অধীনে কোনো প্রতিষ্ঠাতা বা বর্তমান বিনিয়োগকারী তাদের শেয়ার বিক্রি করেননি। এর অর্থ হল, এই বিনিয়োগ সরাসরি কোম্পানিতে নতুন পুঁজি হিসেবে যাচ্ছে।
এ পর্যন্ত মোট ১.১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ
জেনারেল অ্যাটলান্টিক ২০২৩ সাল থেকে ফোনপে-তে নিয়মিত বিনিয়োগ করছে। এ পর্যন্ত ফার্মটি মোট ১.১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ফোনপে দেশের অন্যতম বৃহত্তম ডিজিটাল পেমেন্ট সংস্থা এবং এখন এটি বীমা, ঋণ এবং ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের মতো নতুন আর্থিক পরিষেবাতেও প্রবেশ করেছে। এছাড়াও, সংস্থাটি তাদের নতুন কনজিউমার টেক প্ল্যাটফর্ম পিনকোড এবং ইন্ডাস অ্যাপস্টোর নিয়েও কাজ করছে।
১২ হাজার কোটি টাকার আইপিও-র প্রস্তুতি

ফোনপে শীঘ্রই শেয়ার বাজারে প্রবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংস্থাটি ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে সেবির কাছে গোপন খসড়া জমা দিয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, আসন্ন মেগা আইপিও-তে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা অর্থাৎ ১.৩৫ বিলিয়ন ডলারের অফার ফর সেল অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই আইপিও-তে কোনো নতুন শেয়ার জারি করা হবে না। এর অধীনে বর্তমান বিনিয়োগকারীরা তাদের কিছু অংশীদারিত্ব বিক্রি করবেন। সংস্থাটি এই বছরের শেষ নাগাদ আপডেটেড খসড়া সেবিতে জমা দিতে পারে।
ফোনপে আইপিও-র জন্য গোপন রুট অবলম্বন করেছে। এর সুবিধা হল, সংস্থাটি তাদের ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত সংবেদনশীল তথ্য গোপন রাখতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় সংস্থাটি বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী তাদের আইপিও কৌশল নির্ধারণ করতে পারে এবং প্রয়োজনে খসড়া প্রত্যাহারও করতে পারে। যদি সংস্থাটি স্ট্যান্ডার্ড ডিআরএইচপি ফাইল করত, তাহলে সমস্ত তথ্য পাবলিক ডকুমেন্ট হিসেবে উপলব্ধ থাকত।
কারা শেয়ার বিক্রি করবে
আইপিও-তে অফার ফর সেলের অধীনে ওয়ালমার্ট, টাইগার গ্লোবাল এবং মাইক্রোসফট তাদের কিছু শেয়ার বিক্রি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্ভাবনা রয়েছে যে এই তিনজন মিলে প্রায় ১০ শতাংশ অংশীদারিত্ব অফার করবে। ফোনপে-তে ওয়ালমার্টের সবচেয়ে বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে। এছাড়াও, জেনারেল অ্যাটলান্টিক, রিবিট ক্যাপিটাল, টিভিএস ক্যাপিটাল, টেনসেন্ট এবং কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটির মতো বড় বিনিয়োগকারীরাও সংস্থার অংশীদার।
ফোনপে-র আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী
ফোনপে-র সূচনা হয়েছিল ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে। ২০২৫ অর্থবর্ষে সংস্থার রাজস্ব ৪০ শতাংশ বেড়ে ৭,১১৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। অ্যাডজাস্টেড ইবিআইটিডিএ অর্থাৎ সুদ, কর, অবচয় এবং অমূর্ত ব্যয় বাদ দেওয়ার আগের আয় ১,৪৭৭ কোটি টাকা নথিভুক্ত হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। অন্যদিকে, অ্যাডজাস্টেড নিট মুনাফা ২২০ শতাংশ বেড়ে ৬৩০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।













