GST নিয়ে নির্মলা সীতারমণ: ‘সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত’, কলকাতায় জানালেন নতুন প্রজন্মের সংস্কারের দিশা

GST নিয়ে নির্মলা সীতারমণ: ‘সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত’, কলকাতায় জানালেন নতুন প্রজন্মের সংস্কারের দিশা

GST সংস্কার: বৃহস্পতিবার কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে ‘পরবর্তী প্রজন্মের GST সংস্কার কমিটি’র অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন যে জিএসটি সম্পর্কিত কোনও সিদ্ধান্ত এককভাবে নেওয়া হয় না, বরং সব রাজ্যের সম্মতিতেই তা কার্যকর হয়। রাজস্ব ভাগাভাগি প্রসঙ্গে তিনি জানান, কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ই সমানভাবে লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের ১১টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যে কর ছাড়ের ফলে স্থানীয় শিল্পীরা নতুন করে আর্থিক সুবিধা পাবেন।

জিএসটি কাউন্সিলের ক্ষমতা নিয়ে বার্তা

নির্মলা সীতারমণ বলেন, জিএসটি কাউন্সিল দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেন্দ্র এককভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নেয় না, বরং সব রাজ্যের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এই প্রক্রিয়া কর ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে সাহায্য করছে।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ব্যাখ্যা

অর্থমন্ত্রী জানান, লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে অনেকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে সেটি ছিল আসন্ন জিএসটি বৈঠকের ইঙ্গিত। সীতারমণ স্পষ্ট করে বলেন, মন্ত্রীপরিষদ ও রাজ্যগুলোর সম্মতি ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় না।

কেন্দ্র-রাজ্যের রাজস্ব ভাগাভাগি

অর্থমন্ত্রী এদিন উল্লেখ করেন, জিএসটি রাজস্ব ৫০-৫০ অনুপাতে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ভাগ হয়। কেন্দ্রীয় অংশ থেকেও একটি বড় অঙ্ক রাজ্যগুলোতে ফেরত দেওয়া হয়। ফলে রাজস্ব ঘাটতি হলে কেন্দ্রকেও সমানভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।

পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী পণ্যে কর ছাড়

তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের ১১টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যে জিএসটি হার কমানো হয়েছে। এর মধ্যে শান্তিনিকেতনের চামড়াজাত সামগ্রী, বাঁকুড়ার টেরাকোটা, পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ, কুশমণ্ডির কাঠের মুখোশ, মেদিনীপুরের মাদুরকাঠি, শোলার হস্তশিল্প, নকশি কাঁথা, হাতে তৈরি শাল, মালদার প্রক্রিয়াজাত আম, দার্জিলিং চা এবং পাটজাত ব্যাগ অন্তর্ভুক্ত। এই ছাড় স্থানীয় শিল্পীদের জন্য আর্থিক স্বস্তি বয়ে আনবে।

সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সহযোগিতা

সবশেষে নির্মলা সীতারমণ রাজ্যগুলোর সক্রিয় সহযোগিতার প্রশংসা করেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ প্রচেষ্টাতেই জিএসটি সংস্কার সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও এই সমন্বয় দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ কলকাতার এক অনুষ্ঠানে জানান, GST কাউন্সিলের সব সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। রাজস্ব ভাগাভাগি কেন্দ্র ও রাজ্যের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের ১১টি ঐতিহ্যবাহী শিল্প ও পণ্যে জিএসটি হার কমানোয় স্থানীয় শিল্পীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।

Leave a comment