ইতিহাস সৃষ্টি! উসমান ডেম্বেলে জিতলেন প্রথম ব্যালন ডি'অর, বনমাতির হ্যাটট্রিক

ইতিহাস সৃষ্টি! উসমান ডেম্বেলে জিতলেন প্রথম ব্যালন ডি'অর, বনমাতির হ্যাটট্রিক

প্যারিস সেন্ট-জার্মেই (PSG)-এর তারকা উইঙ্গার উসমান ডেম্বেলে ইতিহাস সৃষ্টি করে তাঁর প্রথম ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জিতেছেন। ২৮ বছর বয়সী এই ফরাসি ফুটবলারকে প্যারিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২০২৫ সালের ব্যালন ডি’অর প্রদান করা হয়।

খেলাধুলা সংবাদ: ফ্রান্সের তারকা উইঙ্গার উসমান ডেম্বেলে ফুটবলের বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কার ব্যালন ডি'অর জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। ২৮ বছর বয়সী এই ফরাসি খেলোয়াড় ২০২৫ সালের ব্যালন ডি'অর প্যারিসে আয়োজিত এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে গ্রহণ করেন। এটি ডেম্বেলের ক্যারিয়ারের প্রথম ব্যালন ডি'অর।

ডেম্বেলে-এর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স

গত মরসুমে ডেম্বেলে প্যারিস সেন্ট-জার্মেই (PSG)-এর হয়ে ৫৩টি ম্যাচে ৩৫টি গোল করেন এবং ১৪টি গোলে অ্যাসিস্টের অবদান রাখেন। এই পারফরম্যান্স তাঁকে ব্যালন ডি'অর জিততে সাহায্য করেছে। ডেম্বেলে-এর জন্য এই জয় বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ গত কয়েক বছর ধরে তিনি চোট এবং খেলায় ধারাবাহিকতার অভাবের সাথে লড়াই করে যাচ্ছিলেন।

বিশেষত, ডেম্বেলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্লেয়ার অফ দ্য সিজন অ্যাওয়ার্ডও জিতেছিলেন, যেখানে তিনি PSG-এর ঐতিহাসিক ইউরোপীয় জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এই সাফল্য প্রমাণ করেছে যে ডেম্বেলে এখন সম্পূর্ণরূপে তাঁর ক্ষমতা ও যোগ্যতার শিখরে রয়েছেন। পুরস্কার জেতার পর ডেম্বেলে বলেন: এটি আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত। আমি এই সাফল্যের জন্য আমার পরিবার, কোচ এবং দলের সকল সতীর্থকে ধন্যবাদ জানাই। এই পুরস্কার কেবল আমার জন্য নয়, বরং PSG এবং ফ্রান্স ফুটবলের জন্যও।

মহিলা ফুটবলে আইতানা বনমাতির দাপট

মহিলা ফুটবলের জগতে বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আইতানা বনমাতি টানা তৃতীয়বারের মতো ব্যালন ডি'অর জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। ২৬ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ তারকা তাঁর দুর্দান্ত খেলা এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের মাধ্যমে মহিলা ফুটবলে নিজের দাপট বজায় রেখেছেন। যদিও বার্সেলোনার ইউরোপীয় যাত্রা এবার প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল না, তবুও বনমাতি তাঁর ধারাবাহিকতা এবং খেলার মান দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে তিনি মহিলা ফুটবলের সেরা খেলোয়াড়। তাঁর খেলা তরুণ ফুটবলারদের জন্যও অনুপ্রেরণার কাজ করেছে।

অন্যান্য পুরস্কার ও সম্মাননা

৬৯তম ব্যালন ডি'অর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান প্যারিসের থিয়েটার ডু শাতলেতে আয়োজিত হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে আরও বেশ কয়েকটি পুরস্কার বিতরণ করা হয়:

  • PSG-এর গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি ডননারুম্মাকে ইয়াশিন ট্রফি (সেরা গোলরক্ষক) দ্বারা সম্মানিত করা হয়।
  • মহিলা বিভাগে বার্সেলোনার ভিকি লোপেজকে উইমেনস কোপা ট্রফি প্রদান করা হয়।
  • ইংল্যান্ডের ম্যানেজার সেরিনা উইগম্যান এবং চেলসির গোলরক্ষক হান্না হ্যাম্পটনও মহিলা বিভাগে পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন।
  • PSG ক্লাব অফ দ্য সিজন সম্মানও লাভ করে।

ডেম্বেলে এবং বনমাতির জয় কেবল ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি তাঁদের ক্লাব এবং দেশের জন্যও গর্বের মুহূর্ত। ডেম্বেলে ফ্রান্স এবং PSG-এর জন্য স্থায়িত্ব ও যোগ্যতার সর্বোচ্চ স্তর দেখিয়েছেন, যেখানে বনমাতি মহিলা ফুটবলে ধারাবাহিকতা ও শ্রেষ্ঠত্বের নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছেন।

Leave a comment