মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায় লিম্বানি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজে রাসায়নিক মিশ্রিত করার সময় বিস্ফোরণ ঘটেছে। দুর্ঘটনায় একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, চারজন আহত এবং দু'জনের অবস্থা গুরুতর। পুলিশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল তদন্ত করছে।
পালঘর: জেলার ‘লিম্বানি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ’-এ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর সময় এক বিকট বিস্ফোরণ ঘটে। এই দুর্ঘটনায় একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে জরুরি দল পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কারখানায় বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু
পুলিশ এবং পালঘর জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেলের প্রধান বিবেকানন্দ কদমের মতে, কারখানায় ধাতু ও অ্যাসিড মেশানোর সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। সেই সময় মোট পাঁচজন শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন। বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলেই একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়, এবং আরও দুজন গুরুতরভাবে ঝলসে যান। আহত শ্রমিকদের নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, কিছুটা দূরে থাকা আরও দুজন শ্রমিক সামান্য আহত হয়েছেন। দমকল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে যে, প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলের সমস্ত ছবি এবং নিরাপত্তা প্রক্রিয়াগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
পুলিশের তদন্ত ও নিরাপত্তা বিধির আবেদন
স্থানীয় পুলিশ এবং শিল্প সুরক্ষা বিভাগের দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে এবং বিস্ফোরণের তদন্ত করছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিস্ফোরণের কারণে কারখানার প্রাঙ্গণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুলিশ কারখানার কর্মচারী এবং আশেপাশের মানুষের কাছে নিরাপত্তা নিয়মাবলী মেনে চলার আবেদন জানিয়েছে।
পালঘরে এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। গত মাসেও জেলার একটি ওষুধ কারখানায় গ্যাস লিকের ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে চারজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল এবং আরও দুজন আহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার পর পুলিশ চারজন সিনিয়র কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল।
শিল্প দুর্ঘটনায় নিরাপত্তার অভাব
পালঘর জেলায় শিল্প দুর্ঘটনার এই ধারা ক্রমাগত বাড়ছে। গত মাসে ঘটে যাওয়া ওষুধ কারখানার ঘটনায় নাইট্রোজেন গ্যাস লিকের কারণে কর্মীদের জীবনহানি হয়েছিল। এই ঘটনায় নিরাপত্তা প্রোটোকলে ত্রুটিরও সম্ভাবনা প্রকাশ করা হয়েছিল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, সে সময় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৩৬ এবং দুর্ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে তদন্ত চলছে।
বিবেকানন্দ কদম বলেছেন যে, সমস্ত কারখানার মালিক এবং কর্মীদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলা বাধ্যতামূলক। তিনি এও সতর্ক করেছেন যে, যেকোনো নিরাপত্তা নিয়ম অবহেলা গুরুতর পরিণতির কারণ হতে পারে।