হুগলির পাণ্ডুয়ায় সমবায় নির্বাচনে লালঝড়। শ্রীরামবাটি সমবায় সমিতির ১২টির মধ্যে ১১টি আসনে জয়ী সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। দীর্ঘ ১০ বছর পর এই ভোটে কার্যত তৃণমূলের দখল ভাঙল বামেদের হাতে। প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেন বলেন, “মানুষ দুর্নীতিতে বিরক্ত, তাই পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে।” তৃণমূলের দাবি, ফলাফলের পেছনের কারণ খতিয়ে দেখা হবে।
১০ বছর পর তৃণমূলের ঘাঁটিতে লাল পতাকা
দশ বছর ধরে তৃণমূলের দখলে ছিল পাণ্ডুয়ার শ্রীরামবাটি সমবায় সমিতি। এইবার সেই ঘাঁটি হাতছাড়া হল। ১১-১ ব্যবধানে জয় পেয়ে কার্যত তৃণমূলকে কোণঠাসা করল সিপিএম। স্থানীয় সূত্রে খবর, কৃষক ও ক্ষেতমজুররা ব্যাপকভাবে বাম প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়েছেন।
বাম শিবিরে উচ্ছ্বাস, ‘পরিবর্তনের বার্তা’ দাবি আমজাদের
ফলাফল প্রকাশের পরই উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে বাম শিবিরে। প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেন বলেন, “তৃণমূল দশ বছর ধরে সমবায়কে লুট করেছে। এবার মানুষ তার জবাব দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ক্ষেতমজুর ও পাট্টাদাররা দুর্নীতি মুক্ত পরিবেশ চায়—এই জয় তারই প্রমাণ।
তদন্তে নামছে তৃণমূল, ‘সমন্বয়ের অভাব’ মেনে নিচ্ছেন স্থানীয় নেতা
অন্যদিকে, ফলাফল নিয়ে আত্মসমালোচনায় তৃণমূল। দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “ফলাফল কেন এমন হল তা তদন্ত করা হবে। কোথাও সমন্বয়ের অভাব থাকলে তা নিয়ে আলোচনা চলবে।” তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন সত্ত্বেও মানুষ কেন মুখ ফিরিয়ে নিল তা দেখা হবে।”
রাজনৈতিক বার্তা ও আগামীর লড়াইয়ের প্রস্তুতি
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ফলাফল আগামী বিধানসভা ভোটের আগে বামেদের অক্সিজেন জোগাবে। পাণ্ডুয়ার মতো গ্রামীণ এলাকায় এই জয় তৃণমূলের জন্য চিন্তার কারণ। অন্যদিকে, বাম শিবিরে এখন নতুন করে সংগঠন চাঙ্গা করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
দীর্ঘ এক দশক পর পাণ্ডুয়ার শ্রীরামবাটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিপুল জয় সিপিএমের। ১২টির মধ্যে ১১টি আসনে জিতে কার্যত তৃণমূলের ঘাঁটি দখল করল বাম শিবির। এই ফল বাম কর্মীদের মনোবল অনেকটাই বাড়িয়েছে বলে দাবি স্থানীয় নেতৃত্বের। অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে ফলাফলের কারণ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।