এই মামলায় চার্জ গঠন করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহা, এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, সমরজিৎ আচার্য, নিয়োগকর্তা কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক সাহা, এসএসসি আধিকারিক পর্ণা বসু ও আরও কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।এছাড়া নাইসা আধিকারিক পঙ্কজ বনশল, নীলাদ্রি দাস সহ একাধিক এজেন্টকেও অভিযোগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মামলায় রাজসাক্ষী হতে আবু তাহের আদালতে আবেদন করেন। তিনি এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন এবং তার সাক্ষ্য মামলা প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য
ভার্চুয়াল শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদালতের কাছে আবেদন করেন, “আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি শিক্ষামন্ত্রী ছিলাম এবং যাঁরা অভিযোগ করেছেন, তারা অসত্য বলছেন। এসএসসি একটি স্বশাসিত সংস্থা। আমাকে ৩.৫ বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে। আমি মুক্তি চাই।বিচারকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি আরও বলেন, আমি এসপি সিনহা, কল্যাণময়দের পদে নিয়োগ দিয়েছি, তবে আমার সম্মান আছে। আমি ২৫ বছর ধরে বিধায়ক। সুবীরেশ চেয়ারম্যান ছিলেন আগে, আমি মন্ত্রী হওয়ার আগে কল্যাণময় শিক্ষা পরিষদে ছিলেন। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
অন্যান্য অভিযুক্তদের অবস্থান
এদিন পরেশ অধিকার ও কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী এর বিরুদ্ধে OMR শিট ম্যানিপুলেশনের অভিযোগ আনা হয়। শুনানিতে তারা আদালতকে জানিয়েছেন, “আমরা সম্পূর্ণ নির্দোষ।”
এসএসসি দুর্নীতি মামলাটি একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়েছে। মামলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য ও প্রমাণাদি পরীক্ষা করার মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া এগোচ্ছে।
কলকাতা: একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করল আলিপুর বিশেষ আদালত। মামলায় ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাজসাক্ষী হতে আবেদন করেছেন অভিযুক্ত এজেন্ট আবু তাহের।