পতঞ্জলির উত্থান: গ্রামীণ ও শহর জীবনে প্রভাব

পতঞ্জলির উত্থান: গ্রামীণ ও শহর জীবনে প্রভাব

পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ তার শুরু থেকেই স্থানীয় কৃষকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে শুরু করেছিল। কোম্পানির লক্ষ্য ছিল কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কাঁচামাল যেমন ভেষজ, শস্য, তেল ইত্যাদি কেনা। এতে কৃষকরা কেবল বাজারের সঠিক দাম পাচ্ছে তাই নয়, মধ্যস্বত্বভোগীদের ভূমিকাও হ্রাস পেয়েছে। এই মডেলের মাধ্যমে কৃষকদের আয় বেড়েছে এবং তাদের জন্য বাজারে প্রবেশ করা সহজ হয়েছে।

পতঞ্জলির ‘ফার্মার সমৃদ্ধি কার্যক্রম’-এর অধীনে কৃষকদের জৈব চাষ এবং নতুন প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচিটি জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নিগম এবং এগ্রিকালচার স্কিল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে। এর প্রভাব সরাসরি কৃষকদের ফসলের গুণমান এবং উৎপাদন উভয়ের উপরই দেখা যাচ্ছে।

গ্রামাঞ্চলে কারখানা ও পার্ক থেকে বেড়েছে কর্মসংস্থান

পতঞ্জলি নিজেকে শুধু কৃষি ক্ষেত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং গ্রামীণ এলাকায় সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে শুরু করেছে। যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অঞ্চলে কোম্পানি একটি বড় খাদ্য ও ভেষজ পার্ক তৈরি করেছে।

এই প্রকল্পে বিস্কুট নির্মাণ ইউনিট, দুধ প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট এবং ভেষজ খামারের মতো অনেক অংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিস্কুট কারখানাতে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা, দুগ্ধ ইউনিটে ৬০০ কোটি টাকা এবং ভেষজ খামারে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলো হাজার হাজার মানুষকে কাজ দিতে সক্ষম, বিশেষ করে যারা গ্রাম বা ছোট শহরে বাস করে।

শহরে স্টোর ও রিটেল থেকে বেড়েছে বাণিজ্যিক কার্যকলাপ

শহুরে ভারতে পতঞ্জলি তাদের পণ্যের বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। কোম্পানি হাজার হাজার ফ্র্যাঞ্চাইজি স্টোর এবং মেগা স্টোর খুলে খুচরা নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করেছে। এই স্টোরগুলির মাধ্যমে শহুরে এলাকায় খুচরা বাণিজ্য নতুন দিশা পেয়েছে।

একটি পতঞ্জলি মেগা স্টোরের জন্য এক কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং দুই হাজার বর্গফুট জায়গার প্রয়োজন। এই স্টোর সেই উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যারা নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান। এই স্টোরগুলি কেবল পতঞ্জলির পণ্য ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে তাই নয়, অনেক মানুষকে সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানও দিয়েছে।

খাদ্য তেল এবং অন্যান্য পণ্যে রুচি সোয়া থেকে বেড়েছে দখল

পতঞ্জলি রুচি সোয়া অধিগ্রহণের পর খাদ্য তেল এবং অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের বাজারেও নিজেদের প্রসারিত করেছে। প্রায় ৪৩৫০ কোটি টাকার এই চুক্তি ভারতীয় এফএমসিজি সেক্টরে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মাধ্যমে কেবল কোম্পানির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়েনি, শহুরে ভোক্তারাও সাশ্রয়ী, দেশী এবং স্বাস্থ্যকে ध्यान में रखते हुए बनाए गए उत्पाद मिलने लगे हैं।

রুচি সোয়ার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পতঞ্জলি শহরগুলিতে তাদের বিতরণ এবং উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করেছে। এর ফলে কোম্পানিকে ব্র্যান্ড হিসেবে আরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে এবং ভোক্তারা একটি নতুন নির্ভরযোগ্য বিকল্প পেয়েছে।

উদ্ভাবন এবং স্বদেশী উপর জোর से बनी अलग पहचान

পতঞ্জলি ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান এবং আধুনিক প্রযুক্তিকে একত্রিত করে পণ্য তৈরি করেছে। কোম্পানির আয়ুর্বেদিক এবং ভেষজ পণ্য একটি আলাদা বাজার তৈরি করেছে। স্বদেশীর উপর জোর এবং आत्मनिर्भर भारत की सोच को आगे बढ़ाते हुए पतंजलि ने अपने प्रोडक्ट्स को देसी पहचान दी है।

কোম্পানি ক্রমাগত নতুন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছে, যা দেশের গ্রামীণ এবং শহুরে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে। প্রতিটি নতুন প্ল্যান্ট, প্রতিটি নতুন স্টোর এবং প্রতিটি নতুন পণ্যের সাথে পতঞ্জলি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের ভূমিকা আরও শক্তিশালী করছে।

স্থানীয় উদ্যোক্তাকে উৎসাহিত करने की दिशा में मजबूत प्रयास

পতঞ্জলির পক্ষ থেকে করা বিনিয়োগ এবং পরিকল্পনাগুলির আরও একটি দিক হল স্থানীয় উদ্যোক্তাকে উৎসাহিত করা। ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেল এবং উৎপাদন ইউনিটের মাধ্যমে কোম্পানি অনেক মানুষকে ব্যবসা শুরু করার সুযোগ দিয়েছে, যারা আগে এই ধরনের পরিকল্পনা সম্পর্কে ভাবতেও পারত না।

এছাড়াও, কোম্পানির ট্রেনিং প্রোগ্রাম এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট উদ্যোগের মাধ্যমে যুবকদের স্বরোজগারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর ফলে গ্রামীণ ভারতে কেবল কর্মসংস্থান নয়, অর্থনৈতিক आत्मनिर्भरता का रास्ता भी खुला है।

रोजमर्रा की ज़िंदगी में दिख रहा है असर

गांव हो या शहर, आज पतंजलि के उत्पाद हर घर में पहुंच रहे हैं। इसका असर सिर्फ बाज़ार तक सीमित नहीं है, बल्कि यह लोगों की जीवनशैली और सोच में भी बदलाव ला रहा है। ग्रामीण इलाकों में जहां लोग जैविक खेती की तरफ लौट रहे हैं, वहीं शहरी उपभोक्ता घरेलू और स्वदेशी विकल्पों को अपना रहे हैं। 

Leave a comment