উদ্ধব ঠাকরের দেবেন্দ্র ফড়নবিশের প্রশংসা: মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা

উদ্ধব ঠাকরের দেবেন্দ্র ফড়নবিশের প্রশংসা: মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা

মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে আজকাল একটি ইতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে কর্তৃক উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের প্রকাশ্য প্রশংসা রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, তবে এটিকে একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসাবেও দেখা হচ্ছে। মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলেই এই প্রশংসাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে রাজ্যের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত করে স্পষ্ট করেছেন যে এটি কেবল একটি সামাজিক সৌজন্য।

বাওয়ানকুলের বক্তব্য

চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলেই নাগপুরে বলেন যে মহারাষ্ট্রের ঐতিহ্য হল কারও জন্মদিনে তাঁর ভালো কাজের প্রশংসা করা। এটি কেবল সামাজিক সম্মান, যাকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করা অনুচিত। তিনি বলেন, উদ্ধব ঠাকরে যেভাবে ২০২৯ সাল পর্যন্ত উন্নত মহারাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণে ফড়নবিশের প্রশংসা করেছেন, তা সমস্ত রাজনৈতিক দলের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা। বাওয়ানকুলেই আরও যোগ করেন যে এটি একটি প্রেরণাদায়ক বার্তা, যা রাজনৈতিক সম্প্রীতিকে শক্তিশালী করে।

 পুস্তকে উদ্ধব ও পাওয়ারের উদ্ধৃতি

ফড়নবিশের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সম্প্রতি রাজভবনে 'মহারাষ্ট্র নায়ক' নামক একটি কফি টেবিল বই প্রকাশিত হয়েছে। রাজ্যপাল সি.পি. রাধাকৃষ্ণন কর্তৃক প্রকাশিত এই বইটিতে ফড়নবিশের রাজনৈতিক জীবন এবং কৃতিত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই বইটিতে উদ্ধব ঠাকরে এবং এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের উদ্ধৃতিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে উভয় নেতাই ফড়নবিশের নেতৃত্বদানের ক্ষমতা এবং নিষ্ঠার প্রশংসা করেছেন। ঠাকরে তাঁকে একজন অধ্যয়নশীল এবং নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যিনি রাজ্যে বিজেপির ভিত মজবুত করেছিলেন যখন কংগ্রেসের আধিপত্য ছিল।

ফড়নবিশের প্রতিক্রিয়া

এই পুরো ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এটিকে খোলাখুলিভাবে গ্রহণ করেছেন এবং বলেছেন যে মতাদর্শগত পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক, তবে আমরা একে অপরের শত্রু নই। তিনি ঠাকরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন যে এটি রাজনীতিতে ইতিবাচক সংলাপ এবং সৌহার্দ্যের প্রতীক। ফড়নবিশ আরও স্বীকার করেছেন যে ঠাকরের এই বক্তব্য তাঁকে ভবিষ্যতে জাতীয় স্তরে ভূমিকা পালনে অনুপ্রাণিত করবে।

এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠলেও, এটিও দেখায় যে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও পারস্পরিক সম্মান এবং শালীনতার ঐতিহ্য বজায় রাখা সম্ভব।

Leave a comment