পাটনায় বিজেপি-কংগ্রেস কর্মীদের সংঘর্ষে ভাঙচুর। রাহুল গান্ধী টুইট করেছেন, "সত্য ও অহিংসার কাছে মিথ্যা টিকতে পারে না। আমরা গণতন্ত্র ও সংবিধানের রক্ষায় সচেষ্ট থাকব।"
বিহার: গত শুক্রবার পাটনায় বিজেপি ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার কেন্দ্র ছিল কংগ্রেসের পাটনা কার্যালয়, যেখানে বিজেপি কর্মীরা রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রা চলাকালীন दरभंगा-তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল।
কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা তাদের অফিসে ঢুকে সেখানে থাকা গাড়ি ও সম্পত্তির ক্ষতি করেছে। অন্যদিকে, বিজেপির বক্তব্য, তাদের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল, কিন্তু কংগ্রেস কর্মীরা ভেতর থেকে ইট-পাটকেল ছুঁড়েছে, যার ফলে বিতর্ক আরও বেড়েছে।
রাহুল গান্ধীর বক্তব্য
এই পুরো ঘটনার প্রেক্ষিতে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ পোস্ট করেছেন, "মিথ্যা ও হিংসা সত্য ও অহিংসার কাছে টিকতে পারে না। মারো এবং ভাঙো, যত খুশি ভাঙো – আমরা সত্য ও সংবিধানের রক্ষায় সচেষ্ট থাকব। সত্যমেব জয়তে।"
রাহুল গান্ধী এই মন্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট করেছেন যে তাঁর লক্ষ্য কোনো প্রকার হিংসা ছড়ানো নয়, বরং গণতন্ত্র ও সংবিধানের রক্ষা করা। তিনি বলেছেন যে মিথ্যা ও হিংসার বিরুদ্ধে সত্য ও অহিংসা সর্বদা জয়ী হবে।
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ ও ক্ষমা চাওয়ার দাবি
বিজেপি কর্মীরা दरभंगा-তে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেছিল। তাদের অভিযোগ, রাহুল গান্ধীর रैली চলাকালীন মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তাঁর প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল। বিজেপির বক্তব্য, কংগ্রেসের এই ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
মিডিয়ায় ধরা পড়ল ঘটনা
মিডিয়ার রেকর্ড করা ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে, বেশ কিছু বিজেপি কর্মী কংগ্রেস অফিসের গেটে লাথি-ঘুঁষি মারছে এবং ভাঙচুর করছে। ভিডিওতে দুই দলের কর্মী ও সমর্থককে একে অপরের দিকে ইট-পাটকেল ও লাঠি ছুঁড়তে দেখা যাচ্ছে।
কংগ্রেস কর্মীরা সতর্ক করে দিয়েছে যে তারা বিজেপির এই কাজের কড়া জবাব দেবে। কংগ্রেস কর্মী আশুতোষ বলেছেন, "কড়া জবাব দেওয়া হবে। এই সব সরকার মদতেই হচ্ছে। নীতীশ কুমার ভুল করছেন।"
পুলিশের পদক্ষেপ: दरभंगा-তে গ্রেপ্তার
দরভাঙ্গা পুলিশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যকারী মোহাম্মদ রিজভি ওরফে রাজাকে গ্রেপ্তার করেছে। এই গ্রেপ্তারের পর এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়েছে, যা রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়ার বৃদ্ধি ঘটিয়েছে।
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক বক্তব্য তীব্র হয়েছে। বিজেপি ও কংগ্রেস উভয় দলই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর আগেই বিহারে রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছিলেন যে, এই ধরনের ঘৃণা ও নেতিবাচক রাজনীতি দেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।
অন্যদিকে, কংগ্রেস দাবি করেছে যে বিজেপি কর্মীদের দ্বারা অফিসে ঢুকে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দলটি বলেছে যে গণতন্ত্রে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা শান্তিপূর্ণভাবে হওয়া উচিত।