এসপি নেতা শিবপাল যাদব চা্য়ল বিধায়ক পূজা পালকে ইস্তফা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। দলীয় শৃঙ্খলার লঙ্ঘনের জন্য পূজা পালকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এখন তার বিজেপি-তে যোগদানের সম্ভাবনা রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়।
ইউপি রাজনীতি: উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলায় সমাজবাদী পার্টির (এসপি) সিনিয়র নেতা শিবপাল সিং যাদব চা্য়ল আসনের বিধায়ক পূজা পাল সম্পর্কে একটি স্পষ্ট বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে পূজা পালের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তিনি এখনও পর্যন্ত তা করেননি। শিবপাল যাদব আরও বলেছেন যে কোনো বিধায়কের জন্য দল এবং জোটের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখা অপরিহার্য। শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
কেন পূজা পালকে বহিষ্কার করা হল?
সম্প্রতি সমাজবাদী পার্টি চা্য়ল আসনের বিধায়ক পূজা পালকে বহিষ্কার করেছিল। দল অনুসারে, পূজা পাল ক্রমাগত দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে মন্তব্য করছিলেন এবং বিজেপি-র পক্ষে দেখা যাচ্ছিল। তিনি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করেছিলেন, যা এসপি নেতৃত্বকে ক্ষুব্ধ করেছিল। এছাড়াও, তিনি রাজ্যসভা নির্বাচনে ক্রস ভোটিংও করেছিলেন।
এটা শিবপাল যাদবের প্রথম আক্রমণ নয়
এটি পূজা পালকে নিয়ে শিবপাল যাদবের প্রথম আক্রমণ নয়। ১৫ আগস্ট इटावा সফরে তিনি বলেছিলেন যে পূজা পালের পরিণতি বিজেপি-র উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের মতো হবে এবং তিনি ভবিষ্যতে কখনোই বিধায়ক হতে পারবেন না। তাঁর এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে দলীয় নেতৃত্বের অসন্তোষ গভীর এবং ভবিষ্যতে যেকোনো রাজনৈতিক পদক্ষেপে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
পূজা পালের রাজনৈতিক যাত্রা
পূজা পাল প্রাক্তন বিধায়ক রাজু পালের স্ত্রী। ২০০৫ সালে রাজু পালের হত্যার পর পূজা পাল রাজনীতিতে আসেন। তিনি বিএসপি-র টিকিটে নির্বাচন লড়েন এবং পরে এসপি-তে যোগ দেন। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি চা্য়ল আসন থেকে বিধায়ক হন। প্রাথমিকভাবে দলটির সঙ্গে তাঁর সহযোগিতা শক্তিশালী ছিল, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তিনি দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে মন্তব্য করতে শুরু করেন।
পূজা পালকে বিজেপি-র কাছাকাছি দেখা যাচ্ছে
গত কিছুদিন ধরে পূজা পালকে বিজেপি নেতাদের কাছাকাছি দেখা যাচ্ছে। দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে তাঁর কার্যকলাপ এবং মন্তব্যের কারণে এসপি তাঁকে বহিষ্কার করেছে। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে যে তিনি শীঘ্রই বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন। যদিও, পূজা পাল এই বিষয়ে এখনও কোনো বিবৃতি দেননি।
শিবপাল যাদব স্পষ্ট করে বলেছেন যে যদি কোনো বিধায়ক এসপি বা ইন্ডিয়া জোটে জয়ী হয়, তাহলে তাকে দল এবং জোটের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। যে নেতারা এই শৃঙ্খলা মেনে চলেন না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে
পূজা পালের বহিষ্কারের পর রাজনৈতিক মহলে অনেক প্রশ্ন উঠছে। একদিকে তাঁর বিজেপি-র কাছাকাছি হওয়ার গুঞ্জন রয়েছে, অন্যদিকে এসপি-র শৃঙ্খলা এবং দলীয় নীতি মেনে চলার উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়টি কেবল চা্য়ল আসনের জন্যই নয়, বরং সমগ্র রাজ্যের রাজনৈতিক কৌশলের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
এসপি-র শৃঙ্খলা নীতি
এসপি বারবার স্পষ্ট করেছে যে দলে শৃঙ্খলা বজায় রাখা প্রতিটি বিধায়কের কর্তব্য। দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে মন্তব্য করা, কোনো বিরোধী দলের প্রশংসা করা বা ক্রস ভোটিং করা শৃঙ্খলা লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হয়। এই নীতি অনুসারে, পূজা পালকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে তিনি কোনো রাজনৈতিক সুবিধা পাবেন না যদি তিনি দলীয় শৃঙ্খলা মেনে না চলেন।