পাটনার চিতকোহরা স্থিত কন্যা মধ্য বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী আগুনে পুড়ে মারা গেছে। পরিবার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে। ঘটনার পর মানুষের ক্ষোভ ফেটে পড়ে এবং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পদক্ষেপ নেয়।
पटना: বিহারের পাটনা জেলার চিতকোহরাতে অবস্থিত কন্যা মধ্য বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী বিগত বুধবার (২৭ আগস্ট, ২০২৫) নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়, যার ফলে আগুনে পুড়ে তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পরিবার ও স্থানীয় লোকেরা ক্ষোভ উগরে রাস্তায় নেমে আসে এবং আগুন লাগিয়ে দেয় ও পাথর ছোড়ে।
সেক্রেটারিয়েট এসডিপিও অনু কুমারী জানিয়েছেন যে, মেয়েটি নিজে আগুন লাগিয়েছিল নাকি কেউ তাকে আগুন লাগিয়েছিল, তা এখনো তদন্তাধীন। রিপোর্ট আসার পরেই আসল তথ্য জানা যাবে। পুলিশ ও প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।
স্কুলের বাথরুমে আগুন লেগে ছাত্রীর মৃত্যু
জানা গেছে যে, ছাত্রীটি স্কুলের বাথরুমে আগুন লাগিয়েছিল, যার ফলে তাকে দ্রুত PMCH-এ ভর্তি করানো হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। মেয়েটির বাড়ি স্কুলের কাছে হওয়ায় এলাকায় ক্ষোভ বেড়ে যায়।
বিগত বুধবারও স্কুলে ভাঙচুর করা হয়েছিল এবং পুলিশ কর্মীদের উপর হামলা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ফের লোকজন রাস্তায় নেমে আসে এবং পুলিশের উপর পাথর ছোড়ে, যাতে এক পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন।
পরিবার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে
মৃত ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় লোকেরা বলছেন যে, মেয়েটি নিজে আগুন লাগায়নি, বরং স্কুলের শিক্ষকরা তাকে পুড়িয়ে মেরেছেন। তাদের অভিযোগ যে, স্কুলে মোবাইল ভিডিও দেখানো হত এবং শিক্ষকরা একান্তে মেয়েদের ডাকতেন।
স্থানীয় লোকেরা ও পরিবার কঠোর ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচারের দাবি করছেন। তারা বলেছেন যে, স্কুলে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে এবং শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আগেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন
এসডিপিও অনু কুমারী বলেছেন যে, তদন্ত চলছে এবং রিপোর্ট আসার পরেই ঘটনার সত্যতা জানা যাবে। পুলিশ বিপুল সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
পরিবার ও স্থানীয় লোকেরা পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মকর্তারা বলেছেন যে, পাথর ছোড়া ও আগুন লাগানোর জন্যও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।