জিএসটি স্ল্যাবে বড় পরিবর্তন: দৈনন্দিন পণ্য করমুক্ত, বিলাসবহুল পণ্যে ৪০% করের প্রস্তাব

জিএসটি স্ল্যাবে বড় পরিবর্তন: দৈনন্দিন পণ্য করমুক্ত, বিলাসবহুল পণ্যে ৪০% করের প্রস্তাব

সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বড় ট্যাক্স সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। চারটি ট্যাক্স স্ল্যাব কমিয়ে দুটিতে আনার প্রস্তুতি চলছে। এর ফলে পনির, রুটি, ঔষধ এবং স্টেশনারীর মতো দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্য করমুক্ত অথবা ৫% স্ল্যাবের অধীনে আসতে পারে। বিলাসবহুল এবং ক্ষতিকর পণ্যের উপর ৪০% কর আরোপ করা হবে।

জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক: নয়াদিল্লিতে ৩ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যেখানে জিএসটি সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মিডিয়া রিপোর্টস অনুসারে, বর্তমান চারটি ট্যাক্স স্ল্যাব কমিয়ে মাত্র দুটি স্ল্যাব (৫% এবং ১২%) রাখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আওতায় পনির, পিৎজা ব্রেড, রুটি, খাকরা, ঔষধ এবং স্টেশনারীর মতো দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্য করমুক্ত অথবা ৫% ক্যাটাগরিতে আসতে পারে। অন্যদিকে, বিলাসবহুল এবং ক্ষতিকর পণ্যের উপর ৪০% পর্যন্ত কর আরোপ করা হবে, যেখানে পেট্রোলিয়াম, সোনা এবং হীরা পূর্বের মতোই পুরনো ট্যাক্স কাঠামোর অধীনে থাকবে।

সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক

জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ৩ এবং ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীরা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করবেন। মিডিয়া রিপোর্টস অনুসারে, এই বৈঠকে জিএসটি সংস্কারের বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে জিএসটি স্ল্যাব কমানোর দাবি উঠছিল এবং এখন কাউন্সিল এই বিষয়ে ठोस পদক্ষেপ নিতে চলেছে।

জিএসটি স্ল্যাবে বড় পরিবর্তন

বর্তমানে দেশে চারটি জিএসটি স্ল্যাব চালু রয়েছে, যার মধ্যে ৫%, ১২%, ১৮% এবং ২৮% অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু এখন সেগুলিকে কমিয়ে মাত্র দুটি স্ল্যাব করার প্রস্তুতি চলছে। রিপোর্টস অনুযায়ী, এখন কেবল ৫% এবং ১২% স্ল্যাব থাকবে। এর সরাসরি প্রভাব ভোক্তাদের পকেটে পড়বে, কারণ অনেক পণ্যের উপর কর কমে যাবে।

দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্যে কর লাগবে না

সবচেয়ে বড় স্বস্তির খবর হলো, কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য সম্পূর্ণ করমুক্ত হতে পারে। এর মানে হলো, এগুলির উপর কোনো জিএসটি নেওয়া হবে না। জানা গেছে, পনির, পিৎজা ব্রেড, খাকরা, চপটি এবং রুটির মতো দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রীর উপর কর সম্পূর্ণভাবে তুলে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

স্টেশনারি ও ঔষধেও স্বস্তি

কেবল খাদ্য সামগ্রীই নয়, স্টেশনারি সামগ্রী এবং অনেক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ঔষধকেও করমুক্ত অথবা ৫% স্ল্যাবের অধীনে আনার প্রস্তুতি চলছে। এর মানে হলো, স্কুল-খাতা জাতীয় জিনিস এবং সাধারণ অসুস্থতায় ব্যবহৃত ঔষধগুলি পূর্বের চেয়ে সস্তা হতে পারে।

১২% ট্যাক্স স্ল্যাব বাতিল হবে

রিপোর্টস অনুসারে, বর্তমানে যে সমস্ত পণ্য ১২% ট্যাক্স স্ল্যাবের অধীনে রয়েছে, তার প্রায় ৯৯% কমিয়ে ৫% স্ল্যাবের অধীনে আনা যেতে পারে। এর ফলে এই পণ্যগুলির দাম অনেকটাই কমে যাবে।

২৮% ট্যাক্স স্ল্যাবের অধীনে বর্তমানে অনেক পণ্য রয়েছে। কিন্তু জিএসটি সংস্কারের পর সেগুলিকে কমিয়ে ১৮% স্ল্যাবের অধীনে আনা হবে। এর ফলে ব্যয়বহুল পণ্যগুলির উপর কর ১০% পর্যন্ত কমতে পারে।

বিলাসবহুল ও ক্ষতিকর পণ্যে বেশি কর

যেখানে সাধারণ ও প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর কর কমানো হবে, সেখানে বিলাসবহুল এবং ক্ষতিকর পণ্যের উপর করের হার আরও বাড়ানো হতে পারে। জানা গেছে, এগুলির উপর ৪০% পর্যন্ত কর আরোপ করা যেতে পারে। এর মধ্যে शराब, সিগারেট এবং অন্যান্য ক্ষতিকর পণ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

পেট্রোলিয়াম ও সোনার উপর কর পরিবর্তন হবে না

জিএসটি সংস্কার সত্ত্বেও পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং সোনা-হীরার মতো মূল্যবান পণ্যের উপর করের কাঠামো আগের মতোই থাকবে। এগুলির উপর কোনো ধরনের পরিবর্তন করার আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই।

ভোক্তাদের উপর প্রভাব

এই সংস্কারগুলির পরে সাধারণ মানুষ বড় স্বস্তি পাবে, কারণ দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্য সস্তা হয়ে যাবে। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য এবং মেডিকেল আইটেমের উপর কর না লাগলে পরিবারের মাসিক খরচ কমতে পারে। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীদের জন্য জিএসটি-র কাঠামোও সহজ হয়ে যাবে।

Leave a comment