মার্কিন सांसदोंদের বিরোধিতার মুখে ট্রাম্পের ভারত-বিরোধী শুল্ক নীতি

মার্কিন सांसदोंদের বিরোধিতার মুখে ট্রাম্পের ভারত-বিরোধী শুল্ক নীতি

মার্কিন सांसदोंরা ট্রাম্পের ভারতের উপর ৫০% শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তারা বলেছেন, এই পদক্ষেপটি ভুল কারণ এটি ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং মার্কিন ভোক্তাদেরও বেশি দাম দিতে হবে।

US Tariff: মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা এখন আমেরিকার অভ্যন্তরেই তীব্র হয়েছে। মার্কিন সংসদের বিদেশ বিষয়ক কমিটির ডেমোক্র্যাট सांसदोंরা ট্রাম্প প্রশাসনের এই নীতির উপর প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের মতে, এই পদক্ষেপটি কেবল ভুলই নয়, বরং এটি আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে গত দুই দশকে গড়ে ওঠা মজবুত সম্পর্ককেও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। ডেমোক্র্যাট নেতাদের ধারণা, রুশ তেল কেনাকে কেন্দ্র করে ভারতকে নিশানা করা সম্পূর্ণ অনুচিত, বিশেষ করে যখন চীন-এর মতো বড় দেশগুলোর উপর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

কেন ভারতে শুল্ক আরোপকে ভুল বলছেন সাংসদরা

ডেমোক্র্যাট সাংসদদের মতে, ভারতে শুল্ক আরোপ একটি একতরফা সিদ্ধান্ত, যা সঠিক কৌশল নয়। তারা বলেছেন, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হয়েছে, যা উভয় দেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্পের এই পদক্ষেপে এই অগ্রগতি থেমে যেতে পারে। সাংসদদের বক্তব্য, রাশিয়ার তেল রপ্তানি নিয়ে চীন-এর মতো বড় দেশগুলোর উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি, অথচ ভারতের উপর সরাসরি শুল্ক চাপানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক স্তরে আমেরিকার নীতিকে দুর্বল করে।

আমেরিকানদের উপরই পড়ছে প্রভাব

শুল্কের সরাসরি প্রভাব ভারতের উপর নয়, বরং আমেরিকানদের উপর পড়ছে। ডেমোক্র্যাট নেতাদের মতে, ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে মার্কিন বাজারে পণ্য আরও দামি হয়ে যাবে, যার ফলে মার্কিন ভোক্তাদের বেশি মূল্য দিতে হবে। তাদের ধারণা, এই সিদ্ধান্ত মার্কিন শিল্প ও কৃষকদের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ আমেরিকার অর্থনৈতিক স্বার্থের পরিপন্থী হতে পারে।

আমেরিকা-ভারত সম্পর্কে ফাটলের আশঙ্কা

ডেমোক্র্যাট সাংসদদের মতে, ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কের গত দুই দশকে অনেক উন্নতি হয়েছে। প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং জ্বালানি ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু ভারতের উপর শুল্ক আরোপ এই সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারে। সাংসদদের ধারণা, এই ধরনের সিদ্ধান্ত ভারতের সঙ্গে বিশ্বাসের দুর্বলতা তৈরি করতে পারে এবং এটি কৌশলগত অংশীদারিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।

কেন চীনে শুল্ক আরোপ করা হলো না

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল কেনে চীন, তবুও ট্রাম্প প্রশাসন তাদের উপর কোনো শুল্ক আরোপ করেনি। ডেমোক্র্যাট সাংসদদের মতে, যদি মার্কিন প্রশাসনের সত্যিই রাশিয়ার তেল বিক্রি বন্ধ করার উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে তাদের চীন এবং অন্যান্য বড় ক্রেতা দেশগুলোর উপরও একই নীতি প্রয়োগ করা উচিত ছিল। কিন্তু সরাসরি ভারতকে নিশানা করা মার্কিন বিদেশ নীতিকে পক্ষপাতদুষ্ট করে তোলে এবং এটি প্রমাণ করে যে সিদ্ধান্তের কোনও সুনির্দিষ্ট ভিত্তি নেই।

প্যানেল নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনের উল্লেখ করেছে

ডেমোক্র্যাট সাংসদদের কমিটি নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর একটি প্রতিবেদনেরও উল্লেখ করেছে, যেখানে বলা হয়েছিল যে যদি ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়া থেকে তেল কেনা সমস্ত দেশের উপর সমানভাবে ব্যবস্থা নিত, তাহলে বিষয়টি ভিন্ন হতো। কিন্তু শুধুমাত্র ভারতকে নিশানা করা নীতিগতভাবে ভুল এবং এটি আন্তর্জাতিক স্তরে আমেরিকার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন

ডেমোক্র্যাট সাংসদদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ সম্ভবত এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর নীতিগুলোর মধ্যে একটি। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, যখন আমেরিকা নিজেই ভারতের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে চাইছে, তখন কেন এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যা সম্পর্ককে দুর্বল করে?

Leave a comment