প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যশোর রোড বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় পৌঁছে মেট্রো পরিকাঠামোর সরেজমিন পরিদর্শন করেন। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান তাঁকে বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিকল্পনা ঘুরিয়ে দেখান। মেট্রোর ত্রিমাত্রিক মডেল প্রদর্শন করা হয়, যা শহরের যাতায়াত সহজ করবে। মোদি খোঁজ নেন, কীভাবে শহরের গতি বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষ কম সময়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছাতে পারবে।
বাংলার রাজনীতিতে মোদির হুঁশিয়ারি
মেট্রো পরিদর্শনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী রাজনীতিতেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, যুবকদের বাইরে কাজ খুঁজে যেতে হবে না। উন্নয়নের সুযোগ রাজ্যের ভেতরেই তৈরি হবে। তবে মোদি সতর্ক করেন, অনুপ্রবেশকারীর সমস্যা এখনো গুরুতর। তিনি দাবি করেন, একটি ভোটেই বাংলাকে অনুপ্রবেশকারীমুক্ত করা সম্ভব। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের থাকা যাবে না।
কংগ্রেস ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ
প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তাঁর অভিযোগ, এই দুই দল অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করতে চাইছে।পাশাপাশি তিনি বলেন, আদিবাসীদের ভুল বোঝানো হচ্ছে এবং তাঁদের জমি হরণ করা হচ্ছে। দেশের মানুষের রুটি-রুজি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। তাই অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে।
ভোটের শক্তি ও তৃণমূল উৎখাতের ডাক
মোদি বলেন, “আপনারা একটি ভোটেই বাংলাকে অনুপ্রবেশকারীমুক্ত করতে পারেন। সেই সঙ্গে তৃণমূলকেও সরাতে হবে।” তিনি পুনরায় নিশ্চিত করেন, যুবকরা রাজ্যের ভেতরেই কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। দেশের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের প্রভাব কমাতে হবে।
মহিলা ও আদিবাসীদের নিরাপত্তা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহিলা অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। আদিবাসীদের জমি হরণ বন্ধ করতে হবে।” তিনি আশ্বাস দেন, দেশের মানুষকে রক্ষা করতে কোনও ধরণের অনুপ্রবেশকারী থাকা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ
মোদির বক্তব্যে আরও উল্লেখ থাকে, সংসদে অ্যান্টি-কোরাপশন বিল আনা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী—কেউ অপরাধ করলে আলাদা আইন থাকবেনা। তৃণমূলের অনেক নেতা জেল থেকেও প্রশাসন চালাচ্ছেন, কিন্তু কোনো অপরাধ হলে আইনের আওতায় আসতেই হবে।
উন্নয়নের পথে এগোনোর বার্তা
প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, তৃণমূল সংসদে বিল ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করলেও বিজেপি উন্নয়নের পথে এগোতে চাইছে। দেশের নিরাপত্তা, যুবকদের কর্মসংস্থান এবং অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ—এসবই হবে সরকারের মূল লক্ষ্য।
