প্রবীর রঞ্জন CISF-এর ৩২তম মহাপরিচালক পদে দায়িত্বভার গ্রহণ

প্রবীর রঞ্জন CISF-এর ৩২তম মহাপরিচালক পদে দায়িত্বভার গ্রহণ

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে প্রবীর রঞ্জন সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (CISF)-এর ৩২তম মহাপরিচালক (Director General) হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। এই নিয়োগের আগে তিনি CISF-এ স্পেশাল ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং ফোর্সের এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি সেক্টরের প্রধান ছিলেন।

CISF: দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সিপি প্রবীর রঞ্জন মঙ্গলবার CISF-এর ৩২তম মহাপরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। তিনি ১৯৯৩ ব্যাচের এজিএমইউটি ক্যাডারের আইপিএস অফিসার এবং এর আগে CISF-এ বিশেষ মহাপরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। রঞ্জনের কর্মজীবন ৩২ বছরের বেশি দীর্ঘ, যেখানে তিনি দিল্লি পুলিশ, সিবিআই এবং আইবি-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য পদে কাজ করেছেন। 

তাঁর সেবাকার্য বিবেচনা করে তাঁকে ২০০৯ সালে মেধাবী সেবার জন্য রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক এবং ২০১৬ সালে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক দিয়ে সম্মানিত করা হয়। তাঁর কার্যকাল ৩১ জুলাই ২০২৯ পর্যন্ত থাকবে।

প্রবীর রঞ্জনের দীর্ঘ ও প্রভাবশালী কর্মজীবন

প্রবীর রঞ্জন ১৯৯৩ ব্যাচের এজিএমইউটি ক্যাডারের আইপিএস অফিসার। তাঁর ৩২ বছরের পুলিশি কর্মজীবনে দিল্লি পুলিশ, কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (CBI) এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB)-তে গুরুত্বপূর্ণ পদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি দিল্লি পুলিশে বিশেষ কমিশনার (অপরাধ ও অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা), CBI-তে ডিআইজি এবং চণ্ডীগড় পুলিশের ডিজিপি-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন।

রঞ্জনকে তাঁর উৎকৃষ্ট সেবা ও নেতৃত্বের জন্য ২০১৬ সালে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এছাড়াও, ২০০৯ সালে মেধাবী সেবার জন্য রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক দিয়েও তাঁকে ভূষিত করা হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে একাধিক ডিজিটাল উদ্যোগ এবং নিরাপত্তা প্রকল্প চালু করা হয়েছে, যা নিরাপত্তা পরিষেবাগুলিতে আধুনিকতা এনেছে। তাঁর কার্যকাল ৩১ জুলাই ২০২৯ পর্যন্ত থাকবে।

প্রবীর রঞ্জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা

প্রবীর রঞ্জনের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণও তাঁর কর্মজীবনের শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পুলিশ ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এছাড়াও, তিনি ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, দিল্লি থেকে এলএলএম ডিগ্রি লাভ করেছেন। রঞ্জন তাঁর জ্ঞানকে আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রসারিত করেছেন। তিনি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও পাবলিক পলিসি অ্যানালাইসিসে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এটি তাঁকে শুধুমাত্র জাতীয় নয়, বৈশ্বিক নিরাপত্তা নীতি এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায়ও দক্ষ করে তুলেছে।

CISF-এ তাঁর দায়িত্ব ছিল এয়ারপোর্ট নিরাপত্তা সেক্টরের তত্ত্বাবধান করা। তাঁর নেতৃত্বে এয়ারপোর্ট নিরাপত্তা, শিল্প নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল নজরদারি ব্যবস্থায় একাধিক উন্নতি ও নতুন প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছে। তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর অপারেশনাল ক্ষমতা এবং প্রশিক্ষণে নতুন প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়েছেন, যার ফলে CISF-এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

Leave a comment