গাজা শান্তি শীর্ষ সম্মেলনে মেলোনির প্রশংসায় ট্রাম্প, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা

গাজা শান্তি শীর্ষ সম্মেলনে মেলোনির প্রশংসায় ট্রাম্প, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা

মিশরে অনুষ্ঠিত গাজা শান্তি শীর্ষ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবং গাজা শান্তি চুক্তির উপর জোর দিয়েছেন।

গাজা শান্তি শীর্ষ সম্মেলন: মিশরের শারম এল শেখে অনুষ্ঠিত গাজা শান্তি শীর্ষ সম্মেলন (Gaza Peace Summit)-এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বযুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হঠাৎ ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির (Giorgia Meloni) উপস্থিতির প্রশংসা করেন। মঞ্চে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ট্রাম্প বলেন, "আমাদের একজন মহিলা আছেন, একজন যুবতী মহিলা যিনি... আমাকে এটা বলার অনুমতি নেই কারণ সাধারণত যদি আপনি এমনটা বলেন তবে তা আপনার রাজনৈতিক জীবনের ইতি টানে। তবুও আমি বলব যে তিনি একজন সুন্দরী যুবতী মহিলা।"

মেলোনিকে মঞ্চে প্রকাশ্যে প্রশংসা করা হলো

ট্রাম্প তার বক্তৃতার সময় মেলোনির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, "তিনি কোথায়? তিনি ওখানে আছেন!" এরপর তিনি আরও বলেন, "মেলোনি একজন সুন্দরী মহিলা। আপনাকে সুন্দরী বলতে কোনো আপত্তি নেই তো, তাই না?" তিনি মেলোনির উপস্থিতি এবং অবদানের প্রশংসা করে বলেন যে তিনি এখানে আসতে চেয়েছিলেন এবং তিনি অসাধারণ। ট্রাম্প আরও যোগ করেন যে ইতালির মানুষ তাকে খুব সম্মান করে এবং তিনি একজন অত্যন্ত সফল রাজনীতিবিদ।

বক্তৃতায় ট্রাম্প কী বললেন?

মেলোনির রূপ-লাবণ্য এবং তার উপস্থিতি নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য এটি প্রথম ঘটনা নয়। নিউজব্রেকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ট্রাম্প একজন আইরিশ মহিলা রিপোর্টারকে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন, যাকে সমালোচকরা "ভয়ঙ্কর" মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেছিলেন। এবারও তার কথা গণমাধ্যম ও দর্শকদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের উদ্বেগ

তার বক্তৃতায় ট্রাম্প তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ (World War III) নিয়ে আশঙ্কাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "আমি অনেকবার পড়েছি যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে শুরু হবে, কিন্তু এমনটা হবে না। আশা করি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবেই না। তবে এটি মধ্যপ্রাচ্যে শুরু হবে না। আমরা বিশ্বযুদ্ধ করব না।"

গাজা শান্তি চুক্তি 

গাজা শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বের অনেক নেতা এই চুক্তি এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন। এই শান্তি চুক্তিতে আংশিকভাবে ইসরায়েল এবং হামাস (Hamas) জড়িত। সোমবার সকালে জীবিত সকল ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে এর ফলস্বরূপ ইসরায়েল গাজায় তার সামরিক দখল (military occupation) পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করতে শুরু করবে।

Leave a comment