কলকাতা হাইকোর্ট নিউজ: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২৫ সেপ্টেম্বর জারি হওয়ার পর, চাকরিপ্রার্থীরা তা চ্যালেঞ্জ করেছেন। অভিযোগ, ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার কয়েকটি প্রশ্নে ভুল থাকায় প্রার্থীরা এখনও উত্তীর্ণ হননি। বিচারপতি ওম নারায়ণ রাইয়ের অবকাশকালীন বেঞ্চ মামলাটি দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেছেন, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে বহু প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না।
অভিযোগ ও প্রার্থীদের দাবি
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় প্রায় ২০টি প্রশ্নে ভুল রয়েছে। তারা দাবি করেন, ভুল প্রশ্নের নম্বর পেলে অনেকেই উত্তীর্ণ হতেন। এই মামলা এখনও বিচারাধীন। আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের মতে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের সুযোগ হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
হাইকোর্টের অনুমতি ও শোনার সম্ভাবনা
বিচারপতি ওম নারায়ণ রাইয়ের অবকাশকালীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে মামলাটির শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আদালত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছেন।
পর্ষদের মন্তব্য ও বিশেষজ্ঞ কমিটি
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেছেন, “বিষয়টি বিচারাধীন, তাই আমরা কোনো মন্তব্য করব না। আদালতে পুরো বিষয় জানানো হবে।” হাইকোর্ট পূর্বে কলকাতা ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল। কমিটির রিপোর্ট তৈরি হয়েছে, কিন্তু শুনানি না হওয়ায় তা আদালতে জমা দেওয়া হয়নি।
প্রার্থীদের উদ্বেগ ও প্রভাব
২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী অর্পণ মজুমদারের বক্তব্য, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে বহু সফল প্রার্থী হতাশ হবেন। পর্ষদ ওয়েবসাইটে মডেল উত্তর আপলোড করে থাকলেও এর অসঙ্গতি থাকলে তা চ্যালেঞ্জ করা সম্ভব। এই কারণে প্রার্থীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ১৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে আদালতে ফের মামলা দায়ের করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারা অভিযোগ করেছেন, ‘টেট’-এর পূর্ববর্তী প্রশ্নে ভুল থাকায় নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করলে অনেক প্রার্থী সুযোগ হারাবেন। কলকাতা হাইকোর্ট শুনানির অনুমতি দিয়েছে।