কলকাতা: পুজোর আগেই বাঙালিরা নতুন ডায়েট শুরু করেন, কিন্তু ছোটখাটো ভুলের কারণে কাঙ্ক্ষিত ফল পান না। ঘন ঘন দ্রুত খাওয়া, প্রোবায়োটিক খাবার এড়িয়ে চলা বা জল কম খাওয়ার অভ্যাস ওজন কমাতে বাধা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিকভাবে খাবার চিবানো, পর্যাপ্ত জল খাওয়া এবং মানসিক চাপ কম রাখা পুজোর আগে স্বাস্থ্যকর ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
প্রোবায়োটিক খাবার খাওয়াটা জরুরি
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে প্রোবায়োটিক উপাদান থাকে। অনেকের ধারণা, দুগ্ধজাত খাবার খেলে মোটা হয়ে যাবেন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এগুলো হজম ভালো রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। পুজোর আগে নিয়মিত প্রোবায়োটিক খাবার ডায়েটে রাখা উচিৎ।
ধীরে-ধীরে খাবার খান
কম পরিমাণে খাবার হলেও দ্রুত খাওয়া অনেকে করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ধীরে চিবিয়ে খেলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে, ক্ষুধা কমে যায় এবং ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে। তাই পুজোর আগে দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস এড়িয়ে চলা জরুরি।
পর্যাপ্ত জলপান অপরিহার্য
সরাসরি ডায়েটের পাশাপাশি পর্যাপ্ত জলপান ও প্রয়োজন। কম জল খেলে হজম ধীর হয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়। দিনে ২–৩ লিটার জল নিয়মিত খাওয়া উচিত।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
অবসাদ বা চাপ বাড়লে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ায়। তাই ডায়েট চলাকালীন মন চাঙ্গা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাসি-খুশি থাকা ও ধ্যানও সাহায্য করে।
পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখুন
শুধু কার্ব বা প্রোটিন কমানো যথেষ্ট নয়। সব ধরনের পুষ্টি যথাযথভাবে গ্রহণ করা প্রয়োজন। সবজি, ফল, প্রোটিন ও প্রয়োজনমতো ফ্যাট শরীরের ব্যালান্স বজায় রাখে এবং রোগা হওয়ার প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে।
পুজোর আগে অনেকেই দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু কিছু সাধারণ ভুল করলে প্রচেষ্টা বৃথা চলে যেতে পারে। ডায়েট ওজন কমানো: শুধুমাত্র কম খাওয়া বা ফাস্টিং নয়, সঠিক খাবার, পর্যাপ্ত জলপান এবং মানসিক চর্চা ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদরা সতর্ক করছেন, পুজোর আগে ভুল ধারণা ও অভ্যাস ওজন কমানোর স্বপ্নকে ভঙ্গ করতে পারে।