পাঞ্জাবের তারনতারনে আদালত আম আদমি পার্টির বিধায়ক মনজিন্দর সিং লালপুরাকে ১২ বছরের পুরনো উসমান কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে।
তারনতারন। পাঞ্জাবের একটি আদালত আম আদমি পার্টি (AAP)-এর বিধায়ক মনজিন্দর সিং লালপুরাকে ১২ বছরের পুরনো উসমান কাণ্ড মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে চার বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে। আদালত লালপুরা সহ অন্য অভিযুক্তদেরও দোষী সাব্যস্ত করেছে। এই রায়ের পর বিধায়কের বিধায়কপদ এবং রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
উসমান কাণ্ড: কী ঘটেছিল?
২০১৩ সালের ৩ মার্চ, তারনতারন জেলার উসমান গ্রামের বাসিন্দা হরবিন্দর কাউর তাঁর পরিবারের সঙ্গে একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত কিছু ট্যাক্সি চালক হরবিন্দর কাউরের সঙ্গে যৌন হয়রানি করে। নির্যাতিতা প্রতিবাদ করলে, ট্যাক্সি চালকরা তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও মারধর করে। ঘটনার গুরুতরতা বিবেচনা করে, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের পদক্ষেপের পর সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছায়। সুপ্রিম কোর্ট নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশও জারি করেছিল।
আদালতে দীর্ঘ শুনানি
অতিরিক্ত দায়রা বিচারক প্রেম কুমারের আদালতে এই মামলার শুনানি ১২ বছর ধরে চলে। আদালত ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে মনজিন্দর সিং লালপুরাকে দোষী সাব্যস্ত করে। ১০ সেপ্টেম্বর আদালত লালপুরা সহ অন্য অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল। আজ চূড়ান্ত রায় ঘোষণার সময় আদালত মূল অভিযুক্ত লালপুরাকে চার বছরের কারাদণ্ড শোনায়।
পরিবারের প্রতিক্রিয়া
নির্যাতিতা হরবিন্দর কাউর ও তাঁর পরিবার আদালতের এই রায়কে ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করেছেন। তাঁরা বলেছেন যে ন্যায়বিচার পেতে তাঁদের ১২ বছর ধরে দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হয়েছে, কিন্তু আজ তাঁরা সন্তুষ্ট যে অভিযুক্ত শাস্তি পেয়েছে। পরিবার আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এবং এটিকে সামাজিক ন্যায়বিচারের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।