পূর্ণিয়া থেকে পাটনার জন্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে সীমান্তবর্তী ৭টি জেলার মানুষ উপকৃত হবে। রেলমন্ত্রী প্রযুক্তিগত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
Bihar Vande Bharat: পূর্ণিয়া সহ সীমান্তবর্তী অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য একটি ভালো খবর সামনে এসেছে। এখন খুব শীঘ্রই তারা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মাধ্যমে দ্রুত এবং আরামদায়কভাবে পাটনা পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবে। রেল মন্ত্রক পূর্ণিয়া থেকে পাটনার জন্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর সম্ভাবনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
রেলমন্ত্রী অপারেশনাল ফিজিবিলিটি খতিয়ে দেখার অনুমোদন দিয়েছেন
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই প্রস্তাবটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট রেল কর্মকর্তাদের অপারেশনাল ফিজিবিলিটি অর্থাৎ প্রযুক্তিগত এবং ব্যবহারিক সম্ভাবনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই ট্রেনের প্রস্তাবিত রুটটি হবে যোগবনী থেকে পূর্ণিয়া কোর্ট, সাহারসা, সিমরি বখতিয়ারপুর হয়ে পাটনা। এই রুটটি সীমান্তবর্তী অঞ্চলের অনেক জেলাকে সরাসরি রাজধানীর সাথে যুক্ত করবে।
লেশি সিং-এর প্রচেষ্টায় সাফল্য
বিহার সরকারের খাদ্য ও ভোক্তা সুরক্ষা মন্ত্রী লেশি সিং এই গুরুত্বপূর্ণ রেল পরিষেবাটির জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করেছেন। তিনি জানান, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে তিনি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে পূর্ণিয়া থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর দাবি জানিয়েছিলেন। এছাড়াও, তিনি সরসি স্টেশনে জনহিত এক্সপ্রেসের স্টপেজেরও দাবি জানিয়েছিলেন, যা ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে মঞ্জুর করা হয়েছে।
বারবার উদ্যোগ নেওয়ায় স্বীকৃতি
মন্ত্রী লেশি সিং ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ এবং ৩০ জুলাই ২০২৫ তারিখে আবারও রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই দাবিটি পুনর্ব্যক্ত করেন। অবশেষে ৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে তিনি রেল মন্ত্রক থেকে একটি চিঠি পান, যেখানে কর্মকর্তাদের অপারেশনাল ফিজিবিলিটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
সাতটি জেলা সরাসরি উপকৃত হবে
এই প্রস্তাবিত বন্দে ভারত পরিষেবার সুবিধা পূর্ণিয়ার পাশাপাশি সাহারসা, সুপৌল, মধেপুরা, আরারিয়া, কিশানগঞ্জ এবং খাগড়িয়া জেলাগুলিও পাবে। এই জেলাগুলি থেকে পাটনার যাত্রা বর্তমানে সময়সাপেক্ষ এবং অসুবিধাজনক। বন্দে ভারত চালু হলে এই যাত্রা কয়েক ঘণ্টা কমে যাবে এবং আরও আরামদায়ক হবে।
ছাত্র, রোগী ও ব্যবসায়ীদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ হবে এই পরিষেবা
মন্ত্রী বলেন যে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস শুধু একটি ট্রেন নয়, বরং এটি সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষের জন্য একটি নতুন জীবনরেখা। এই ট্রেনটি সেই ছাত্রদের জন্য আশার আলো, যারা পাটনায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে চায়। একই সাথে, এই পরিষেবাটি সেই রোগীদের জন্য সময়মতো চিকিৎসার একটি উপায় হবে যাদের রাজধানীর বড় হাসপাতালগুলিতে পৌঁছানোর প্রয়োজন।
এছাড়াও, এই ট্রেনটি সেই ব্যবসায়ীদের জন্যও খুব উপযোগী হবে যারা তাদের ব্যবসাকে রাজধানীর সাথে যুক্ত করে আরও বাড়াতে চান।
আপাতত কাটিহার যেতে হয় বন্দে ভারতের জন্য
বর্তমানে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষদের পাটনা যাওয়ার জন্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ধরতে কাটিহার পর্যন্ত যেতে হয়। এতে যাত্রার সময় এবং খরচ দুটোই বেড়ে যায়। যদি পূর্ণিয়া থেকে বন্দে ভারত শুরু হয়, তবে স্থানীয় মানুষজন বড় ধরনের স্বস্তি পাবে।
রেলওয়ের পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত হলো সীমাঞ্চল
এটি প্রথম সুযোগ যখন বন্দে ভারতের মতো অত্যাধুনিক ট্রেন পরিষেবা সীমান্তবর্তী অঞ্চলের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে এটা স্পষ্ট যে এখন রেলওয়ের পরিকল্পনায় সীমাঞ্চলও অগ্রাধিকার পাচ্ছে।