Radish & Bloating: শীতকালের অন্যতম জনপ্রিয় সবজি মূলা, কিন্তু সবাই জানেন না এর কিছু সংমিশ্রণ শরীরের জন্য মারাত্মক হতে পারে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলা শরীর ঠান্ডা রাখলেও কিছু খাবারের সঙ্গে খেলে এটি হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে গ্যাস, পেট ফাঁপা, ঢেকুর, এমনকি ত্বকের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। জেনে নিন, কোন পাঁচটি খাবারের সঙ্গে কখনও মূলা খাবেন না।

মূলা ও দুধ একসঙ্গে নয়
আয়ুর্বেদ অনুসারে, মূলা ও দুধের গঠন একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির। মূলা গ্যাস তৈরিকারক, আর দুধ ভারী ও ঠান্ডা প্রকৃতির। একসঙ্গে পেটে গেলে এরা পাচনতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। এর ফলে পেটে ব্যথা, বমি বা ফাঁপা ভাব দেখা দেয়।মূলা খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করুন।
মূলা ও গুড় – বিপজ্জনক সংমিশ্রণ
অনেকে মূলার পরোটার সঙ্গে গুড় খান, কিন্তু এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। মূলা ঠান্ডা প্রকৃতির এবং গুড় গরম প্রকৃতির হওয়ায় তাপমাত্রার ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং পেট ভারের সমস্যা দেখা দেয়।মূলা খাওয়ার সঙ্গে গুড় এড়িয়ে চলুন, না হলে হজমে গোলযোগ হতে পারে।

মাছ ও মূলা একসঙ্গে নয়
আয়ুর্বেদে মূলা ও মাছ একসঙ্গে খাওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। মূলা শরীরে বাত (গ্যাস) বাড়ায়, আর মাছের উষ্ণ প্রকৃতি পিত্তের ভারসাম্য নষ্ট করে। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে ত্বকের সমস্যা ও অন্ত্রের প্রদাহ হতে পারে।মাছ খাওয়ার কমপক্ষে ৫-৬ ঘণ্টা পর মূলা খান।
মূলা ও সাইট্রাস ফলের সংমিশ্রণ এড়িয়ে চলুন
মূলা গ্যাস ও অ্যাসিডিটি বাড়ায়, আর কমলা, লেবু বা পেয়ারা জাতীয় সাইট্রাস ফলের সঙ্গে খেলে আরও অ্যাসিডিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এর ফলে বুক জ্বালাপোড়া ও গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যায়।মূলা খাওয়ার পর অন্তত এক ঘণ্টা কোনও টক ফল খাবেন না।

মূলা ও মধু একসঙ্গে ক্ষতিকারক
মূলা ঠান্ডা প্রকৃতির এবং মধু উষ্ণ। এই বিপরীত সংমিশ্রণে শরীরের পাচক রসের ভারসাম্য নষ্ট হয়, ফলে অন্ত্রের প্রদাহ বা ইনফেকশন হতে পারে।মূলা খাওয়ার তিন ঘণ্টা পরে মধু গ্রহণ করা নিরাপদ।

Radish & Bloating: শীতকালে মূলা খাওয়া যেমন উপকারী, তেমনই কিছু খাবারের সঙ্গে খেলে ক্ষতিকর। আয়ুর্বেদ মতে, মূলা ও দুধ, মাছ, গুড়, সাইট্রাস ফল ও মধু একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা, গ্যাস ও ঢেকুর বাড়তে পারে।












