লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী পাটনার ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দানে পৌঁছেছেন, যেখানে তিনি জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এরপর রাহুল গান্ধী মহাজোটের বিশিষ্ট নেতাদের সাথে আম্বেদকর চকের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
বিহার নির্বাচন ২০২৫: পাটনায় রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদবের ভোটার অধিকার যাত্রা এবার শেষের দিকে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যেই পাটনার ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দানে পৌঁছে গেছেন। এখানে তিনি জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এরপর রাহুল গান্ধী এবং মহাজোটের বিশিষ্ট নেতারা আম্বেদকর চকের দিকে রওনা দেবেন।
এই যাত্রায় কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও উপস্থিত আছেন। দল তাদের সরকারি কর্মসূচির বিস্তারিত বিবরণও জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে।
মহাজোটের শক্তি প্রদর্শন
পাটনায় আয়োজিত এই 'ভোটার অধিকার যাত্রা' নির্বাচন-পূর্ব মহাজোটের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি প্রদর্শন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক কর্মী ও সমর্থক গান্ধী ময়দানে জড়ো হয়েছেন। বিমানবন্দরে প্রদেশ সভাপতি রাজেশ রাম তাঁর নেতাদের অভ্যর্থনা জানান এবং কিছুক্ষণ পরেই যাত্রা শুরু হওয়ার কথা। ১৬ দিনের ভোটার অধিকার যাত্রার এটি শেষ পর্যায়। এই সময়ে রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদব তাঁদের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন।
জেলা প্রশাসন সুরক্ষার কারণে রাহুল গান্ধী এবং অন্যান্য নেতাদের হাই কোর্টের কাছে অবস্থিত আম্বেদকর চক পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। তাই নেতাদের জন্য ডাকবাংলার মোড়ে একটি মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। এই মঞ্চটি শহরের ব্যস্ততম অংশে অবস্থিত এবং চারপাশ থেকে নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে ঘেরাও করা হয়েছে। মঞ্চ থেকে রাহুল গান্ধী এবং মহাজোটের অন্যান্য নেতারা তাঁদের কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন।
কড়া নিরাপত্তা
ডাকবাংলার মোড় এবং আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত জোরদার করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক সশস্ত্র এবং সাধারণ পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে মহাজোটে অন্তর্ভুক্ত সমস্ত দলের কর্মী এবং পার্টি নেতারা পতাকা-ব্যানার নিয়ে ক্রমাগত পৌঁছে যাচ্ছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্দেশ্য কেবল নেতাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা নয়, যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধ করাও। প্রশাসন যান চলাচল এবং স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনা করে এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।