রাজস্থানে আজমেরগামী একটি মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়েছে, যার ফলে ৩৭টি বগি ট্র্যাক থেকে নেমে গেছে। কোনো হতাহতের খবর নেই, তবে রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে এবং ত্রাণ কাজ শুরু করা হয়েছে।
বিকানের: রাজস্থানের বিকানের জেলায় আজমেরগামী একটি মালগাড়ির ৩৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। দুর্ঘটনাটি চানি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে সকাল প্রায় ৭:৩০ মিনিটে ঘটে। বগিগুলি ট্র্যাক থেকে নেমে দূরে ছিটকে যায় এবং অনেকগুলির চাকা খুলে যায়। স্বস্তির খবর এই যে, এই দুর্ঘটনায় কেউ আহত হননি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সকল রেল কর্মচারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
চানি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনা
মালগাড়ি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে রেল পরিষেবা প্রভাবিত হয়েছে। দুর্ঘটনাটি চানি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ঘটে এবং আশেপাশের এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ট্রেনে থাকা সকল কর্মচারী সুরক্ষিত আছেন এবং কেউ আহত হননি।
স্থানীয় গ্রামবাসী এবং রেলওয়ের কর্মীরা ত্রাণ কাজে লেগে পড়েছেন। লাইনচ্যুত বগিগুলিকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনার জন্য বিশেষ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে। রেলওয়ে ঘটনাস্থলে সমস্ত প্রয়োজনীয় সংস্থান সরবরাহ করেছে যাতে ট্র্যাকটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খালি করা যায়।
জয়পুর থেকে বিশেষ ত্রাণ ট্রেন রওনা
রেলওয়ে প্রশাসন দুর্ঘটনার পরপরই জয়পুর থেকে একটি বিশেষ ত্রাণ ট্রেন পাঠিয়েছে। রেলওয়ের সিপিআরও শশী কিরণের মতে, ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং লাইনচ্যুত বগিগুলিকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে।
রেলওয়ে আশেপাশের এলাকায়ও নিরাপত্তা ও ত্রাণ কাজ জোরদার করেছে। স্থানীয় গ্রামবাসী এবং রেলওয়ে কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত বগি ও ট্র্যাকের মেরামতের কাজে সহায়তা করছেন। প্রশাসন এলাকার মানুষকে সতর্ক থাকতে এবং ত্রাণ কাজে বাধা না দিতে অনুরোধ করেছে।
লাইনচ্যুতির কারণে রেল পরিষেবা প্রভাবিত
এই দুর্ঘটনার কারণে রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। অনেক ট্রেনকে পরিবর্তিত রুটে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং দুটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীদের এই অসুবিধার বিষয়ে রেলওয়ে দ্বারা জানানো হয়েছে।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ট্র্যাক পরিষ্কার হওয়ার পর এবং বগিগুলি ফিরিয়ে আনার পর স্বাভাবিক রেল পরিষেবা পুনরায় চালু করা হবে। এর জন্য প্রযুক্তিগত ও মানবসম্পদের পূর্ণ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
দুর্ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন
রেলওয়ে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে দুর্ঘটনাটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা ট্র্যাকের খারাপ অবস্থার কারণে ঘটে থাকতে পারে। সম্পূর্ণ তদন্তের পরেই দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে।
রেলওয়ে প্রশাসন জনগণের কাছে আবেদন করেছে যে তারা রেলপথে সতর্ক থাকুন এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন। পাশাপাশি, তারা আশ্বাস দিয়েছে যে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধ করতে নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।