রাজু ও শেরু: এক অটুট বন্ধুত্বের গল্প

রাজু ও শেরু: এক অটুট বন্ধুত্বের গল্প

এই গল্পটি রাজু নামের একটি ছেলে এবং তার পোষা কুকুর শেরুর মধ্যেকার আবেগপূর্ণ বন্ধুত্বের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে শেরু শুধুমাত্র তার মালিকের সুখ-দুঃখে সঙ্গী ছিল তাই নয়, একটি কঠিন সময়ে তার জীবন বাঁচিয়ে আনুগত্য এবং ভালোবাসার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।

রাজু ও শেরু: এই গল্পটি একটি ছোট শহরে বসবাসকারী 'রাজু' নামের একটি ছেলে এবং তার প্রিয় কুকুর 'শেরু'র। রাজু একটি সাধারণ পরিবারের ছেলে ছিল। তার জগৎ ছিল - তার বাড়ি, স্কুল এবং আবার বাড়ি। তার বাবা-মা দিনমজুর খেটে সংসার চালাতেন এবং সে প্রায়শই বাড়িতে একা থাকত। ধীরে ধীরে সে চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল, বন্ধুদের সাথে বেশি কথা বলত না, খেলাধুলাও করত না।

একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে সে রাস্তার ধারে একটি ছোট, ক্ষুধার্ত কুকুর দেখতে পেল। কুকুরটি কাঁপছিল এবং ঠান্ডায় কুঁকড়ে ছিল। রাজুর মন খারাপ হয়ে গেল। সে না ভেবেই কুকুরটিকে বাড়ি নিয়ে এল। এখান থেকেই তাদের বন্ধুত্বের শুরু।

নাম হল শেরু এবং জুড়ে গেল হৃদয়

রাজু কুকুরটিকে দুধ খাওয়ালো, গরম কাপড় দিয়ে ঢেকে দিল এবং ভালোবেসে তার নাম রাখল 'শেরু'। ধীরে ধীরে শেরু তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠল। এখন রাজু স্কুল থেকে ফিরেই সবার আগে শেরুকে জড়িয়ে ধরত। তারা একসাথে খেলত, একসাথে খেত এবং ঘুমোতোও একসাথে। শেরুও খুব তাড়াতাড়ি রাজুর সাথে জুড়ে গিয়েছিল। সে দরজার কাছে বসে তার জন্য অপেক্ষা করত, তার পিছু পিছু সব জায়গায় যেত এবং কোনো অচেনা লোক রাজুর কাছে এলে শেরু তৎক্ষণাৎ সতর্ক হয়ে যেত।

একে অপরের অবলম্বন

রাজুর একাকীত্ব এখন দূর হয়ে গেছে। শেরু তার কাছে শুধু একটি পোষা প্রাণী ছিল না, বরং তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু ছিল। তাদের মধ্যে এমন একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল যেখানে শব্দের প্রয়োজন ছিল না। যখন রাজু দুঃখ পেত, শেরু চুপচাপ তার পাশে বসে থাকত। তার চোখের দিকে তাকিয়ে রাজু শান্তি পেত। মাঝে মাঝে সে শেরুর কাছে তার মনের কথা বলত এবং শেরু মনোযোগ দিয়ে শুনত, যেন সবকিছু বুঝতে পারছে।

গ্রামের সবার প্রিয় হয়ে উঠল শেরু

ধীরে ধীরে শেরু পুরো পাড়ায় পরিচিত হয়ে উঠল। সবাই তাকে ভালোবাসত। সে বাচ্চাদের সাথে খেলত, বুড়োদের কাছে গিয়ে চুপচাপ বসত। কিন্তু সবচেয়ে বিশেষ ব্যাপার ছিল, সে সবসময় রাজুর সাথেই থাকত। রাজুর স্কুলের গেটে শেরু রোজ তাকে ছেড়ে আসতে যেত এবং দুপুরে সেখানেই দাঁড়িয়ে তার জন্য অপেক্ষা করত। শিক্ষকরাও তাকে চিনতে শুরু করেছিলেন। একজন শিক্ষক তো বলেছিলেন, 'রাজু, তোর কুকুরটা মানুষের থেকেও বেশি বিশ্বস্ত।'

একদিন যখন রাজু অসুস্থ হয়ে পড়ল

একবার শীতকালে রাজুর খুব জ্বর হল। সে বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছিল। সেদিন শেরু না কিছু খেল, না কোথাও গেল। সে সারাদিন তার বিছানার পাশে বসে রইল। যখন ডাক্তার রাজুকে ইঞ্জেকশন দিল, তখন শেরু ভয় ও উদ্বেগের সাথে ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে ছিল। রাজুর মা বললেন, 'শেরু দুদিন পর্যন্ত কিছুই খায়নি, যতক্ষণ না রাজু সুস্থ হয়েছে।' এটা শুনে সবার চোখ ভিজে গেল। শেরু প্রমাণ করে দিল যে বিশ্বস্ততার আসল মানে কী হয়।

একটি দুর্ঘটনা ও আসল পরীক্ষা

একদিন রাজু সন্ধ্যায় শেরুর সাথে বাজার থেকে ফিরছিল। तभी एक बाइक सवार तेज़ी से आया और राजू की ओर बढ़ा। तभी एक बाइक सवार तेज़ी से आया और राजू की ओर बढ़ा। এর আগেই কিছু ঘটত, শেরু ঝাঁপিয়ে রাজুকে ধাক্কা দিল এবং নিজে বাইকের নিচে চলে এল। রাজু পড়ে গেলেও, তার সামান্য আঘাত লাগে। শেরু গুরুতর আহত হল। তাকে তৎক্ষণাৎ কাছের পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। রাজু সারাক্ষণ তার পাশে বসে রইল, কাঁদতে লাগল, প্রার্থনা করতে লাগল – 'ভগবান, আমার শেরুকে বাঁচিয়ে দাও। আমি আর কিছু চাইব না।'

শেরুর প্রত্যাবর্তন ও একটি নতুন শুরু

একটি चमत्कार घटित हुआ। কিছুদিনের চিকিৎসা ও রাজুর যত্নে শেরু ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠল। जब वह घर लौटा, तो पूरा मोहल्ला खुश हो गया। যখন সে বাড়ি ফিরল, তখন পুরো পাড়া খুশি হয়ে গেল। राजु की खुशी का ठिकाना नहीं रहा। राजु की खुशी का ठिकाना नहीं रहा। अब शेरू और राजू पहले से भी ज्यादा करीब हो गए थे। अब शेरू और राजू पहले से भी ज्यादा करीब हो गए थे। শেरुকে এখন বাড়ির অংশ মনে করা হত। यहां तक कि राजू के माता-पिता भी कहने लगे, 'शेरू हमारे लिए सिर्फ कुत्ता नहीं, परिवार का सदस्य है।' এমনকি রাজুর বাবা-মাও বলতে লাগলেন, 'শেরু আমাদের কাছে শুধু কুকুর নয়, পরিবারের একজন সদস্য।'

বন্ধুত্ব যা কখনো ভাঙে না

সময় পেরিয়ে গেল। রাজু বড় হল, কলেজে গেল, কিন্তু শেরু সবসময় তার সাথে ছিল। যখন রাজু প্রথম চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য বাইরে গেল, তখন শেরু দরজার কাছে সারা রাত বসে ছিল। যখন রাজু চাকরি পেল, তখন সবার আগে সে শেরুকে জড়িয়ে ধরে বলল, 'তোর बिना আমি কিছুই না, শেরু।' শেরুর চোখেও জল ছিল। সে কিছু বলতে পারছিল না, কিন্তু তার চোখে রাজুর জন্য সেই আগের মতোই निस्वार्थ ভালোবাসা झलक रहा था।

এই গল্পটি বলে যে সত্যিকারের বন্ধুত্ব শুধু মানুষের মধ্যেই হয় না, বরং একটি পশু ও মানুষের মধ্যেও এমন সম্পর্ক তৈরি হতে পারে যা জীবনভর साथ निभाता है। राजू और शेरू की कहानी यह सिखाती है कि प्यार, वफादारी और समझदारी किसी भाषा की मोहताज नहीं होती। राजु और शेरू की कहानी यह सिखाती है कि प्यार, वफादारी और समझदारी किसी भाषा की मोहताज नहीं होती। যে সম্পর্ক হৃদয় থেকে তৈরি হয়, वह समय के साथ और भी मजबूत होता है – ठीक वैसे ही जैसे एक लड़का और उसका कुत्ता, जो एक-दूसरे के बिना अधूरे हैं। वह समय के साथ और भी मजबूत होता है – ठीक वैसे ही जैसे एक लड़का और उसका कुत्ता, जो एक-दूसरे के बिना अधूरे हैं।

Leave a comment