আদিরার জন্য স্তনদুগ্ধ পাম্প করে শুটিংয়ে যেতেন রানি মুখোপাধ্যায়

আদিরার জন্য স্তনদুগ্ধ পাম্প করে শুটিংয়ে যেতেন রানি মুখোপাধ্যায়

Rani Mukerji Parenting & Work Balance: সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রানি মুখোপাধ্যায় নিজের মাতৃত্ব ও কাজের ভারসাম্যের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। ‘হিচকি’ ছবির শুটিং চলাকালীন তার মেয়ে আদিরা মাত্র ১৪ মাস বয়সী ছিলেন। রানি জানালেন, সকালে স্তনদুগ্ধ পাম্প করে শুটিংয়ে যেতেন এবং শহরের কলেজে সকাল ৮টার মধ্যে প্রথম শট শুরু হতো। ৬–৭ ঘণ্টার মধ্যে ইউনিটের পরিকল্পনা অনুযায়ী শুটিং শেষ হয়ে বিকেল ৩টার মধ্যে তিনি বাড়ি ফিরতেন।

মা হওয়া এবং শুটিংয়ের ভারসাম্য

রানি মুখোপাধ্যায় বহু বছর ধরে বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।মা হওয়ার পরও তিনি শুটিং ফ্লোরে প্রকাশ্যে বেবি বাম্প নিয়ে আসতেন এবং সন্তানকে কোলে নিয়েই কাজ চালাতেন।তিনি জানিয়েছেন, মা হওয়া মানে শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবে বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়া।

স্তনদুগ্ধ পাম্পিং ও শিডিউলের পরিকল্পনা

রানি বলেন, “আমি সকাল ৬:৩০-এ স্তনদুগ্ধ পাম্প করে বের হতাম, সকাল ৮টার মধ্যে প্রথম শট শুরু হতো, এবং দুপুর ১২:৩০–১টার মধ্যে কাজ শেষ হতো।”শহরের ট্র্যাফিক বাড়ার আগে তিনি ৩টার মধ্যে বাড়ি ফিরতেন।এই সঠিক পরিকল্পনা তাকে কাজ ও মাতৃত্বের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করেছে।

নারী অভিনেত্রীদের চ্যালেঞ্জ ও পছন্দ

রানি বললেন, নমনীয় সময়সূচি সবসময় পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে হয়।পুরুষদের শারীরিক পরিবর্তনের চাপ না থাকলেও, মা হওয়ার সময় নারীরা শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যান।তিনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন, কাজের শিডিউল ঠিক না থাকলে ছবিটি না করাটাই ভালো—এটি একটি ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়।

মাতৃত্বের মহিমা

রানি মা হওয়ার অভিজ্ঞতাকে ঈশ্বরের সৃষ্টির সাথে তুলনা করেছেন।তিনি বলেন, “গর্ভাবস্থার নয় মাসে মা হয়ে ওঠেন ঈশ্বরের মতো, কারণ শরীরেই নতুন প্রাণ গঠিত হয়।”এটি পুরুষদের জন্য উপলব্ধ নয়, তাই মা হওয়ার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত অনন্য এবং অসাধারণ।

জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায় শেয়ার করলেন মা হওয়ার পর শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা। তিনি জানালেন, ছোট মেয়ে আদিরার জন্য নিয়মিত স্তনদুগ্ধ পাম্প করতেন এবং তার শিডিউল অনুযায়ী কাজ করেছেন। নারী অভিনেত্রীদের কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখার চ্যালেঞ্জও তিনি তুলে ধরেছেন।

Leave a comment