বিরল কয়েনের বাজারে চমক : যারা মনে করেন, ছোট ছোট কয়েন শুধুই খেলার বা জমানোর উপকরণ, তাদের জন্য চমক আছে একটি বিরল ২ টাকার কয়েনের মূল্য বর্তমানে প্রায় ৫ লাখ টাকা। যারা এই কয়েনটি সংগ্রহ করেছেন, তারা অনলাইনে বিক্রি করে সহজেই উল্লেখযোগ্য অর্থ উপার্জন করতে পারেন। কিভাবে করবেন তা জেনে নেওয়া যাক।
বিরল কয়েনের বাজারে চমক
পুরানো কয়েনের মধ্যে কিছু মুদ্রা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিরল হয়ে ওঠে এবং মূল্যের দিক থেকে বড় লাভের সুযোগ তৈরি করে। তবে সব কয়েনের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়। বিশেষ করে ১৯৯৪ সালের ভারতীয় জাতীয় পতাকা সহ ২ টাকার কয়েনটি আজকের দিনে প্রায় ৫ লাখ টাকার মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
মুদ্রাবিদ্যা ও অর্থ উপার্জন
যারা মুদ্রাবিদ্যা বা কয়েন সংগ্রহ করেন, তাদের কাছে এই ধরণের বিরল কয়েন এক রত্নের মতো। ইন্টারনেটে বিশ্বের যে কোনও ব্যক্তি এই কয়েন কিনতে আগ্রহী হতে পারে। অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে, যেমন quikr.com, এই কয়েন বিক্রি করে সহজেই বড় অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
কীভাবে বিক্রি করবেন?
প্রথমে www.quikr.com-এ
লগ ইন করুন।
“পোস্ট ফ্রি অ্যাড” অপশনটি নির্বাচন করুন।
আপনার কয়েনের ছবি তুলুন এবং আপলোড করুন।
বিক্রির মূল্য নির্ধারণ করুন এবং পোস্টে উল্লেখ করুন কত টাকা চান।
মোবাইল নম্বর ও ইমেইল আইডি দিন।
কয়েনের বিরলত্ব বা বিশেষত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
লাভ ও লেনদেনের প্রক্রিয়া
যারা আপনার পোস্ট দেখবেন, তারা যদি মুদ্রাটি পছন্দ করেন তবে আপনার সাথে যোগাযোগ করবেন। এরপর ফোন বা মেসেজের মাধ্যমে একটি চুক্তি করা যাবে। লেনদেন শেষে কয়েন সরাসরি ক্রেতাকে দিতে পারেন বা ডেলিভারি সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন। বিশ্বের যে কেউ এটি কিনতে পারে।
বাজারের চাহিদা
পুরানো কয়েন সংগ্রহকারীদের মধ্যে বিরল কয়েনের জন্য চাহিদা অনেক বেশি। বিশেষ করে ভারতীয় জাতীয় পতাকা সহ ২ টাকার কয়েন সংগ্রাহকরা যে কোনও মূল্যে কিনতে আগ্রহী। ফলে বিক্রি করার সময় সঠিক মূল্য পেতে পারবেন।
যদিও বড় লাভের সুযোগ রয়েছে, বিক্রেতাদের সতর্ক থাকতে হবে। কয়েনের ছবি এবং বিবরণ সঠিকভাবে দেওয়া উচিত। কোনও ধরনের প্রতারণা এড়াতে ক্রেতার বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করা জরুরি।ছোট ছোট কয়েনও বড় ধন হতে পারে। আপনার ঘরে যদি ১৯৯৪ সালের ভারতীয় জাতীয় পতাকা সহ ২ টাকার কয়েন থাকে, তা বিক্রি করে হাতে আনতে পারেন প্রায় ৫ লাখ টাকা। এটি শুধুই বিরল কয়েনের দারুণ সুযোগ।
