RBI (রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া) রাম সুব্রহ্মণ্যম গান্ধীকে ইয়েস ব্যাঙ্কের পার্ট-টাইম চেয়ারম্যান হিসাবে পুনরায় নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। তাঁর মেয়াদ ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে ১৩ মে, ২০২৭ পর্যন্ত থাকবে। গান্ধী পূর্বে RBI-এর ডেপুটি গভর্নর ছিলেন এবং তাঁর অভিজ্ঞতা ব্যাঙ্কের পরিচালনা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইয়েস ব্যাঙ্ক শেয়ার বাজারকে জানিয়েছে যে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) রাম সুব্রহ্মণ্যম গান্ধীকে পার্ট-টাইম চেয়ারম্যান হিসাবে পুনর্নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। তাঁর নতুন মেয়াদ ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে ১৩ মে, ২০২৭ পর্যন্ত থাকবে। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত RBI-এর ডেপুটি গভর্নর থাকা গান্ধী, যিনি ৩৮ বছর ধরে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তাঁর অভিজ্ঞতা ব্যাঙ্কের স্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক বলে মনে করা হচ্ছে। এই নিয়োগ ইয়েস ব্যাঙ্কের পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রক সম্পর্কের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
নতুন মেয়াদ এবং দায়িত্ব
RBI-এর অনুমোদন পাওয়ার পর, রাম সুব্রহ্মণ্যম গান্ধীকে ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে ১৩ মে, ২০২৭ পর্যন্ত মেয়াদ দেওয়া হবে। এই সময়ে তাঁর বেতন এবং ভাতা RBI-এর অনুমোদনের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। এটিও স্পষ্ট করা হয়েছে যে তিনি অন্য কোনো পরিচালক বা মূল ব্যবস্থাপনা কর্মীদের সাথে যুক্ত নন, এবং তাঁর বিরুদ্ধে SEBI বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
রাম সুব্রহ্মণ্যম গান্ধীর অভিজ্ঞতা
ভারতীয় ব্যাঙ্কিং সেক্টরে রাম সুব্রহ্মণ্যম গান্ধীর অভিজ্ঞতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। RBI-তে তাঁর ৩৭ বছরের দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, তিনি SEBI-তে তিন বছর ডেপুটেশনেও কাজ করেছেন।
গান্ধী হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক IDRBT (Institute for Development & Research in Banking Technology)-এর ডিরেক্টরও ছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক স্তরেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বেসেল কমিটি অন ব্যাঙ্কিং সুপারভিশন এবং কমিটি অন গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল সিস্টেমস-এর মতো অনেক আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য ছিলেন।
ফিনটেক সংস্থাগুলির বিশ্বস্ত উপদেষ্টা
রাম সুব্রহ্মণ্যম গান্ধীর শিক্ষাগত পটভূমিও বেশ শক্তিশালী। তিনি আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এছাড়াও, তিনি আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে ব্যাঙ্কিং, ক্যাপিটাল মার্কেট এবং সিস্টেমস-এ প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ফিনটেক সংস্থা এবং ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডগুলিকে নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনীতি সম্পর্কিত পরামর্শ দিচ্ছেন।
ইয়েস ব্যাঙ্কের জন্য এই সিদ্ধান্তের তাৎপর্য
RBI-এর প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নরের মতো অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তির প্রত্যাবর্তন ইয়েস ব্যাঙ্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। এটি ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে স্থিতিশীলতা আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও, পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এটি বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও বাড়াতে সাহায্য করবে।
গান্ধীর অভিজ্ঞতা এবং তাঁর দীর্ঘ মেয়াদ ব্যাঙ্কের পরিচালনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে এমন সময়ে যখন ব্যাঙ্কিং সেক্টর ক্রমাগত নতুন চ্যালেঞ্জ এবং পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে, তখন একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব ব্যাঙ্কের জন্য স্বস্তির বার্তা বহন করছেন।
শেয়ার বাজারে তাৎক্ষণিক প্রভাব
এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর শেয়ার বাজারে ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ারের উপর এর প্রভাব দেখা গেছে। প্রাথমিক বাণিজ্যে পতনের পরেও, RBI-এর অনুমোদনের ঘোষণার পর শেয়ারটি দৃঢ়তা দেখিয়েছে। বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন যে এটি ভবিষ্যতে ব্যাঙ্কের ভাবমূর্তি এবং আর্থিক অবস্থা উভয়কেই আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে।
ব্যাঙ্কিং সেক্টরে আস্থা বৃদ্ধি
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে ইয়েস ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপ শুধু ব্যাঙ্কের জন্যই নয়, সমগ্র ব্যাঙ্কিং সেক্টরে আস্থা বাড়াতে সাহায্য করবে। বিনিয়োগকারীরা বিশ্বাস করেন যে RBI-এর প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নরের মতো অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তি যখন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করছেন, তখন ব্যাঙ্কের নীতি এবং ব্যবস্থাপনার উপর তাঁর প্রত্যক্ষ প্রভাব দেখা যাবে।