চুল পড়া বা স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য সমস্যা এখন সাধারণ। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়া উপায়েও সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব। রোজমেরি তেল প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের স্বাস্থ্য বাড়ায়, নতুন চুলের জন্ম এবং হারানো চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তবে এটি একটি এসেনশিয়াল অয়েল হওয়ায় সরাসরি ব্যবহার করা উচিত নয়। সঠিকভাবে ক্যারিয়ার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের সমস্যার উপশম পাওয়া যায়।
রোজমেরি তেল ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি
রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল সরাসরি চুলে মাখা যাবে না। এর জন্য ক্যারিয়ার তেল (নারকেল তেল, জোজোবা তেল বা অলিভ অয়েল) ব্যবহার করা আবশ্যক।
মিশ্রণ বানানোর পদ্ধতি:
এক চা চামচ ক্যারিয়ার তেল
২-৫ ফোঁটা রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল
ভালভাবে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। ৫-১০ মিনিট বৃত্তাকারে ম্যাসাজ রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা চুলে রেখে দিতে হবে।
শ্যাম্পুর সঙ্গে ব্যবহার
শ্যাম্পু বা কন্ডিশনারের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়, তবে প্রতিদিনের বোতলে মিশাতে নেই। শ্যাম্পু করার সময় হাতের তালুতে ২-৩ ফোঁটা রোজমেরি তেল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান, আলতো ম্যাসাজ করুন এবং তারপর ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলে অতিরিক্ত চিটচিটে ভাব হয় না।
ব্যবহারের ফ্রিকোয়েন্সি
প্রতিদিন: চুল পড়ার সমস্যা বেশি হলে শ্যাম্পুর সঙ্গে ২ ফোঁটা করে ব্যবহার।
সাপ্তাহিক ২-৩ বার: নিয়মিত চুলের যত্নে ক্যারিয়ার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ।
সতর্কতা ও উপকারিতা
রোজমেরি তেল রাতারাতি কাজ করে না। ৪-৬ মাস নিয়মিত ব্যবহারে চুলের বৃদ্ধিতে প্রভাব দেখা যায়। স্ক্যাল্পে জ্বালা বা অ্যালার্জি হলে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। চোখ, মুখের ভেতরে বা গর্ভাবস্থায় ব্যবহার এড়াতে হবে।
চুল পড়া, পাতলা হওয়া বা স্ক্যাল্পের সমস্যা আজকাল অনেকেরই সাধারণ। সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল চুলের যত্নে কার্যকর। তবে সরাসরি ব্যবহার নয়, সবসময় ‘ক্যারিয়ার তেল’-এর সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের বৃদ্ধিও উৎসাহিত হয়।