শশী থারুরকে নিয়ে কংগ্রেসে বিতর্ক: মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে টানাপোড়েন

শশী থারুরকে নিয়ে কংগ্রেসে বিতর্ক: মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে টানাপোড়েন

শশী থারুর নিজেকে সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করে একটি সমীক্ষা শেয়ার করেছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেস নেতা মুরলীধরন বলেছেন- আগে নিশ্চিত করুন তিনি দলে আছেন কিনা।

Kerala CM: কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর একটি সমীক্ষা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পর কেরলের রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই সমীক্ষা অনুযায়ী, থারুরকে রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই সমীক্ষা কংগ্রেসের অভ্যন্তরেই বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের প্রবীণ নেতা কে. মুরলীধরন থারুরের প্রতি পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত করে বলেছেন যে, প্রথমে তাকে নিশ্চিত করতে হবে তিনি কোন দলের সঙ্গে আছেন।

ইউডিএফ-এর মুখ্যমন্ত্রী কেবল ইউডিএফ থেকেই হবেন

কে. মুরলীধরন স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যদি ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ) ক্ষমতায় আসে, তবে মুখ্যমন্ত্রী তাদের মধ্যেই কেউ হবেন। তিনি আরও বলেন, তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হল নির্বাচন জেতা এবং দলকে অযথা বিতর্কে জড়ানো উচিত নয়।

সমীক্ষা নিয়ে দলের প্রতিক্রিয়া

সমীক্ষা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মুরলীধরন বলেন, কোনো সমীক্ষায় থারুরকে জনপ্রিয় দেখালেও, কংগ্রেস দলে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য অনেক সিনিয়র নেতা রয়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটি সুপ্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া রয়েছে এবং সেই অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কংগ্রেস একটি সুসংগঠিত দল, ব্যক্তি-সর্বস্ব রাজনীতির মঞ্চ নয়।

থারুরের ইঙ্গিত

সাংসদ শশী থারুর সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থার করা সমীক্ষা তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন। এতে দেখা গেছে, ২৮.৩ শতাংশ মানুষ তাঁকে কেরলের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। পোস্টের সঙ্গে থারুর হাত জোড় করা একটি ইঙ্গিত দেন, যা থেকে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদের আকাঙ্ক্ষা আরও স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

কংগ্রেস ও থারুরের মধ্যে টানাপোড়েন

গত কিছু সময় ধরে শশী থারুর এবং কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে মতবিরোধের খবর শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি, পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর কেন্দ্র সরকারের চালু করা "অপারেশন সিঁদুর"-এর প্রতি থারুর সমর্থন জানিয়েছিলেন। এছাড়াও, তিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ নীতির বহুবার প্রশংসা করেছেন, যা দলের মধ্যে অস্বস্তি বাড়িয়েছে।

Leave a comment