চিতাবাঘ ও ভালুকের হামলায় সওয়াই মাধোপুরের গ্রামবাসীর রাতের ঘুম হারাম: বন বিভাগের কাছে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

চিতাবাঘ ও ভালুকের হামলায় সওয়াই মাধোপুরের গ্রামবাসীর রাতের ঘুম হারাম: বন বিভাগের কাছে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

সওয়াই মাধোপুরের রেগার মহল্লায় চিতাবাঘ ও ভালুকের উপস্থিতি গ্রামবাসীর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। চিতাবাঘ একটি কুকুর শিকার করেছে, অন্যদিকে ভালুক মন্দিরের দরজায় টোকা দিতে দেখা গেছে। বন বিভাগের কাছে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হচ্ছে।

সওয়াই মাধোপুর: রণথম্ভোর টাইগার রিজার্ভ সংলগ্ন রেগার মহল্লায় গত রাতে বন্যপ্রাণীর আনাগোনা গ্রামবাসীর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। একদিকে চিতাবাঘ মহল্লায় ঢুকে একটি কুকুর শিকার করেছে, অন্যদিকে ভালুক গলিপথে ঘুরে মন্দিরের দরজায় টোকা দিতে দেখা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সিসিটিভি ক্যামেরায় ভালুকের কার্যকলাপ ধরা পড়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ভালুক মহল্লায় ঘোরাঘুরি করে জঙ্গলের দিকে ফিরে গেছে। কারো আহত হওয়ার খবর না থাকলেও, গ্রামবাসীদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

চিতাবাঘের কুকুরের উপর হামলা

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, প্রথমে চিতাবাঘটিকে মহল্লার এক কোণে দেখা যায়। সেখানে এটি একটি কুকুরকে শিকার করে। এই দৃশ্য দেখে মানুষ ভয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চিতাবাঘের এই হামলা হঠাৎ হয়েছিল এবং এটি মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারত। গ্রামবাসীদের মতে, গত কয়েক মাস ধরে চিতাবাঘের আনাগোনা বাড়ছে এবং এই পরিস্থিতি উদ্বেগের কারণ হচ্ছে।

ভালুক মন্দিরের দরজায় টোকা দিয়েছে

কিছুক্ষণ পর ভালুকটিকে অন্য দিকে দেখা যায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভালুকটি কখনো মন্দিরের সিঁড়িতে উঠছে, কখনো গলিপথে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ভালুকের এই কার্যকলাপ মানুষের জন্য ভীতিজনক ছিল। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ভালুক মহল্লায় ঘোরাঘুরি করে জঙ্গলের দিকে ফিরে গেছে। যদিও কেউ আহত হয়নি, কিন্তু এই ঘটনা গ্রামবাসীদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

বন্যপ্রাণীর আনাগোনা বাড়ায় পশুসম্পদের উপর ঝুঁকি

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বন্যপ্রাণীর আনাগোনা বাড়ার কারণে এখন পশুসম্পদের উপর হামলা সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ রাতে বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পায়। শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, বন বিভাগ যদি কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে। গ্রামবাসীরা রাতে বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন এবং নিরাপত্তার দাবি করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বন বিভাগের কাছে নিরাপত্তার দাবি

স্থানীয় বাসিন্দারা বন বিভাগের কাছে অনুরোধ করেছেন যেন উদ্ধারকারী দলকে সর্বদা সতর্ক রাখা হয় এবং এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় যাতে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে।

গ্রামবাসীরা প্রশ্ন তুলেছেন যে কবে এই ঘটনার উপর নিয়ন্ত্রণ আনা হবে। তাদের মতে, যদি অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।

Leave a comment