শুভমান গিল: টেস্টের পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেও কি অধিনায়ক?

শুভমান গিল: টেস্টের পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেও কি অধিনায়ক?

ভারতীয় ক্রিকেটে শুভমান গিলের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে ইংল্যান্ড সফরে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর, গিল তাঁর সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন এবং এখন তিনি শুধু টেস্ট দলের অধিনায়ক নন, বরং ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্বের দৌড়েও শামিল হয়েছেন।

স্পোর্টস নিউজ: ভারতীয় ক্রিকেটে শুভমান গিলের জনপ্রিয়তা এখন দ্রুত বাড়ছে। ইংল্যান্ড সফরের আগে তাঁকে টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল, যা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু ইংল্যান্ড সফরে গিলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সকল সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। এখন গিল ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্বের দৌড়েও অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। 

ইংল্যান্ডে তাঁর ব্যাটের শক্তি এবং ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা তাঁর আকাঙ্ক্ষাকে আরও শক্তিশালী করেছে। এই সাফল্যের মধ্যে বড় প্রশ্ন উঠছে যে ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব কতদিন তাঁর ভূমিকা পালন করবেন, এবং গিল কবে পুরোপুরি তাঁর স্থানে আসবেন।

ইংল্যান্ড সফরে গিলের কামাল

শুভমান গিলকে ইংল্যান্ড সফরের আগে টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন যে তরুণ গিল এই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিনা। কিন্তু ইংল্যান্ডে তাঁর ব্যাটেই পুরো গল্প লেখা হয়েছে। গিল ১০টি ইনিংসে ৭৫৪ রান করেছেন এবং দলকে ২-২ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর এই পারফরম্যান্স প্রমাণ করে যে তিনি কেবল ব্যাটিংয়েই নন, নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাতেও যোগ্য।

এই পারফরম্যান্সের পর এখন প্রশ্ন উঠছে যে সূর্যকুমার যাদব টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক কতদিন থাকবেন। গিলের প্রত্যাবর্তনে টি-টোয়েন্টি দলে নেতৃত্বের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের চাহিদা কেন বাড়ছে?

প্রাক্তন নির্বাচক দেবাঙ্গ গান্ধী মনে করেন যে শুভমান গিল বিরাট কোহলির মতো একটা প্রভাব তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, “গিল তাঁর সেরা ফর্মে আছেন, এবং তাঁর নেতৃত্বে সেই দূরদর্শিতা আছে, যা বিরাট কোহলির মধ্যে ছিল। আগরকর গিলকে টেস্ট অধিনায়ক করে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। কোনো কারণ নেই যে গিলকে টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বের ভূমিকায় রাখা উচিত নয়। এটি স্পষ্ট বার্তা হওয়া উচিত যে সূর্যকুমারের পরে কে দায়িত্ব নেবেন।

গান্ধী আরও সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে ভারতে আলাদা আলাদা অধিনায়ক খুব কমই দীর্ঘ সময় ধরে সফল হতে পারেন। তাঁর মতে, যখন একজন দুর্দান্ত অল-ফরম্যাট খেলোয়াড় আগে থেকেই কোনো একটি ফরম্যাটে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তখন অন্য ফরম্যাটে তাঁকে একই দায়িত্ব দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, “গিল একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে সব ক্ষেত্রেই সফল এবং আইপিএলেও অধিনায়কত্ব করেছেন। এমন একজন খেলোয়াড়ের নেতৃত্বে দল স্থিতিশীলতা এবং সাফল্য পেতে পারে।

এশিয়া কাপ এবং নির্বাচন কমিটির চ্যালেঞ্জ

অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিটির জন্য এশিয়া কাপের দল নির্বাচন করা কঠিন হবে। গিল জুলাই ২০২৪-এ শ্রীলঙ্কা সফরের পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলেননি। অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট ক্রিকেট এবং ৫০ ওভারের ফরম্যাটকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইংল্যান্ড সফরের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর এখন গিলকে টি-টোয়েন্টি দলে ফিরিয়ে আনার দাবি জোরালো হচ্ছে।

সূর্যকুমার যাদব বর্তমানে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। গিলের উত্থানে প্রশ্ন উঠছে যে যাদব তাঁর অধিনায়কত্ব ধরে রাখতে পারবেন কিনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, গিলের নেতৃত্বে দল স্থিতিশীলতা এবং ফোকাস পাবে, যা দীর্ঘমেয়াদে দলের জন্য উপকারী হতে পারে।

Leave a comment