২৩ বছর পর প্রকাশ পুরনো ভোটার তালিকা, এসআইআর ঘিরে ফের জল্পনা তুঙ্গে!

২৩ বছর পর প্রকাশ পুরনো ভোটার তালিকা, এসআইআর ঘিরে ফের জল্পনা তুঙ্গে!

প্রায় ১৫ দিন ধরে রাজ্যজুড়ে গুঞ্জনের পরে অবশেষে সামনে এল বহু প্রতীক্ষিত তথ্য। ২০০২ সালের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) বা নিবিড় ভোটার তালিকা পুনর্মূল্যায়নের রিপোর্ট অবশেষে প্রকাশ করল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতর। এই তালিকা প্রকাশ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা তুঙ্গে।

২৩ বছর আগের তালিকা কেন এখন? রাজনৈতিক প্রশ্ন তোলা শুরু

২০০২ সালের পর দীর্ঘ ২৩ বছর কেটে গেলেও এই তালিকা এতদিন কেন প্রকাশ করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে একাধিক রাজনৈতিক মহল। অনেকের মতে, ভোটার তালিকায় নাম তোলার বা বাদ পড়ার পিছনে কোনও গোপন উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা নিয়েই তৈরি হচ্ছে জল্পনার মেঘ।

পুরনো তালিকা মানে কি পুরনো ভোটার ফের সক্রিয়?

২০০২ সালের তালিকায় যাদের নাম ছিল, তারা কি বর্তমান ভোটার তালিকাতেও রয়েছেন? অথবা কিছু নাম কি রহস্যজনকভাবে বাদ গিয়েছে? এই তালিকার সঙ্গে বর্তমান তালিকার তুলনা করেই সত্য সামনে আসবে বলে মনে করছে প্রশাসন।

শাসক বনাম বিরোধী – নতুন রাজনৈতিক তীর্যকতা

এই তালিকা প্রকাশের পরেই শাসক এবং বিরোধী দলগুলি পরস্পরকে কাঠগড়ায় তুলতে শুরু করেছে। শাসক শিবিরের দাবি, এই উদ্যোগ নির্বাচনী স্বচ্ছতার জন্য ইতিবাচক। অন্যদিকে বিরোধীদের মতে, এটি আসন্ন নির্বাচনের আগে জনমত প্রভাবিত করার এক সুপরিকল্পিত চাল।

ভোটার তথ্য যাচাইয়ে ফের অভিযান শুরু হবে কি?

ভোটার তালিকায় পুরনো এবং নতুন তথ্যের যাচাই নিয়ে প্রশাসন কি নতুন করে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা চালাবে? একাংশের মতে, এটা করা হলে ব্যাপক বিভ্রান্তি এবং অশান্তি ছড়াতে পারে। অন্যদিকে, বাস্তব চিত্র জানার জন্য এই যাচাই জরুরি বলেই মনে করছেন নির্বাচনী আধিকারিকরা।

তালিকা প্রকাশ কি বড়সড় নির্বাচন পূর্বাভাস?

এই তালিকা প্রকাশ কি আসন্ন বিধানসভা বা লোকসভা ভোটের ইঙ্গিত? ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের পদক্ষেপে রাজনৈতিক পরিকল্পনা লুকিয়ে আছে কি না, তা নিয়েই তুমুল আলোচনা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে।

প্রশাসনের অবস্থান – “স্বচ্ছতা ও রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণের অংশ”

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “পুরনো তালিকা প্রকাশ শুধুই প্রশাসনিক স্বচ্ছতার অংশ। এতে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।” যদিও এমন মন্তব্যে বিরোধী পক্ষ বিশেষ আশ্বস্ত নয়।

ডিজিটাল তালিকার যুগে ২০০২ কতটা প্রাসঙ্গিক?

বর্তমানে ডিজিটাল ভোটার তালিকা চালু হয়েছে। তাতে ২০০২ সালের ম্যানুয়াল তালিকার প্রাসঙ্গিকতা কতটা আছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে প্রশাসনের যুক্তি, পুরনো তালিকা এক ধরনের রেফারেন্স হিসেবেই কাজ করবে।

চলবে কী ফের এসআইআর? রাজ্যবাসীর চোখ কমিশনের দিকে

সবশেষে বড় প্রশ্ন থেকে যায়—এই তালিকা প্রকাশের পর কি ফের নতুন করে SIR চালু হবে? নাকি এটি শুধুই একটি আনুষ্ঠানিক প্রকাশ? রাজ্যবাসীর নজর এখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী ঘোষণার দিকে।

Leave a comment