সীতামারীতে মা সীতার भव्य মন্দির নির্মাণ শুরু

সীতামারীতে মা সীতার भव्य মন্দির নির্মাণ শুরু

সীতামারীর পুনৌরা ধামে মা সীতার भव्य মন্দিরের নির্মাণকার্য শুরু হল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ভূমি পূজন করে প্রকল্পের সূচনা করলেন।

Janaki Mandir: বিহারের সীতামারী জেলার পুনৌরা ধামে একটি भव्य জানকী মন্দির নির্মাণ শুরু হতে চলেছে। শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই মন্দিরের ভূমি পূজনে অংশ নেন এবং পূজা-অর্চনা করে নির্মাণ কাজের সূচনা করেন। এই অনুষ্ঠানে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে হাজার হাজার ভক্ত সমবেত হয়েছিলেন। পুরো এলাকাটি ধর্মীয় আবহে মুখরিত ছিল।

মা জানকীর জন্মস্থানে মন্দির নির্মাণ হচ্ছে

পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী, পুনৌরা ধামকে মাতা সীতার জন্মস্থান হিসেবে মনে করা হয়। এখানেই মাতা সীতার জন্ম হয়েছিল, তাই এই অঞ্চলটি "সীতা জন্মভূমি" নামেও পরিচিত। আগে এখানে একটি ছোট মন্দির ছিল, কিন্তু এখন এটিকে সম্প্রসারিত করে একটি বিশাল মন্দির হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

৬৭ একর জমিতে নির্মাণ, ১১ মাসের সময়সীমা

নতুন মন্দিরটি ৬৭ একর জমির উপর নির্মিত হবে। মন্দির নির্মাণের জন্য ১১ মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণরূপে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং পর্যটনের দিক থেকে বিহারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থান তৈরি করা নয়, বরং সীতামরীকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ধর্মীয় পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরা।

মিথিলার সংস্কৃতির ঝলক

ভূমি পূজন অনুষ্ঠানের সময় মিথিলার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সুন্দর ঝলকও দেখা যায়। বিপুল সংখ্যক স্থানীয় মহিলা ঐতিহ্যবাহী মৈথিলি পোশাকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং লোকসংগীতের মাধ্যমে তাঁদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গানগুলিতে মাতা সীতার জন্ম এবং তাঁর জীবনের কাহিনী বর্ণিত হয়, যা সেখানে উপস্থিত দর্শকদের আবেগাপ্লুত করে তোলে।

অমিত শাহের ভাষণ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভূমি পূজনের পর সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় বলেন যে, এই মন্দির শুধুমাত্র বিহার নয়, সমগ্র দেশের মানুষের কাছেই আস্থার কেন্দ্র হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শাহ আরও বলেন যে, মন্দিরের পাশাপাশি পুরো অঞ্চলের উন্নয়ন করা হবে, যার ফলে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে।

নীতীশ কুমারের উপস্থিতি ও সমর্থন

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মন্দির নির্মাণকে রাজ্যের জন্য গর্বের বিষয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই মন্দিরের মাধ্যমে বিহারের ধর্মীয় পরিচিতি আরও শক্তিশালী হবে। মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আশ্বাস দেন যে, রাজ্য সরকার এই প্রকল্পে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

ডिप्टি সিএম বিজয় সিনহার বক্তব্য

বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় সিনহা এই অনুষ্ঠানে বলেন যে, মাতা সীতার এই মন্দির পুরো মিথিলা অঞ্চলের মানুষের অনুভূতির সঙ্গে জড়িত। এই মন্দির প্রতিটি বিহারীকে গর্বিত করবে এবং ধর্মীয় পর্যটনকে নতুন দিশা দেবে। তিনি বলেন, এই ভূমি পূজনের মাধ্যমে বিহারের উন্নয়নের একটি নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে।

ধর্মীয় পর্যটনে উৎসাহ

সীতামারীতে এই বিশাল জানকী মন্দিরের নির্মাণ শুধুমাত্র ধর্মীয় ভাবাবেগ থেকে অনুপ্রাণিত নয়, বরং এর উদ্দেশ্য ধর্মীয় পর্যটনকে উৎসাহিত করাও। রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার উভয়ই একসঙ্গে এই অঞ্চলকে একটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এর ফলে আশেপাশের অঞ্চলে ব্যবসা, হোটেল, পরিবহন এবং স্থানীয় কর্মসংস্থানও বাড়বে।

Leave a comment